ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বালু পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে দুইশ’ বিঘা জমির ফসল প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ২০ জানুয়ারি ২০২৪

বালু পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে দুইশ’ বিঘা জমির ফসল প্লাবিত

বালির পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার ফসলি জমি

রায়গঞ্জে বালির পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চোখেমুখে অন্ধকার দেখছে বহু কৃষক। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চান কৃষকরা। আর কৃষি বিভাগের দাবি, কৃষকের ক্ষতির বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে।
শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার তবারীপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে বালু ব্যবসা। ফুলজোড় নদী খননের নামে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা ফসলি জমি নষ্ট করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে বালির পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় দুই শতাধিক বিঘা জমির ফসল। শনিবার ভোরে কৃষকেরা জমিতে গিয়ে দেখে পানিতে ডুবে গেছে তাদের কষ্টার্জিত ফসল। 
কৃষক মজনু খান জানান, শুক্রবার বিকেলে তার সরিষা খেত দেখে গেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার জমিতে ভালো সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা দেখে মনটা ভরে যায়। শুধু আামার নয় দাথিয়া এবং তবারিপাড়া গ্রামে অনেক কৃষকের ভালো সরিষা হয়েছে। কিšুÍ শনিবার ভোরে এসে দেখি মাঠ পানিতে ভরে গেছে। যেদিকে তাকাই শুধু পানি আর পানি। মনে হয় হঠাৎ করে বন্যা দেখা দিয়েছে। শুধু আমার নয় আমার মতো শত শত কৃষকের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। 
একই দাবি করেন কৃষক আজিজুূল ইসলাম, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, সেলিম ভুঁইয়া ও জাহাঙ্গীর আলম। তাদের অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালী জিল্লুর রহমান, রাজু, রানা ও জহির হাজী বালু পয়েন্ট বানিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা বছরের পর বছর অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করায় নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে একটি নতুন বালুর পয়েন্ট করে।

রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিল পারভেজ জানান, ফুলজোড় নদী খননের বালু নিলাম দেওয়া হয়েছে। এখানে ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অবশ্যই এই দায় বালু ব্যবসায়ীদের নিতে হবে। রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, আমি শুনেছি পানিতে অনেক ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×