ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

তৈরি পোশাক রপ্তানি দশ মাসে বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ

এপ্রিলে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:২৬, ২ মে ২০২৪

এপ্রিলে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি

তৈরি পোশাক রপ্তানি দশ মাসে বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ

দেশ থেকে সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল ৩৯৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্য রপ্তানি কমেছে দশমিক ৯৯ শতাংশ। এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি কমলেও সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় আছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। যদিও ৯ মাস শেষে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত ১০ মাসে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। গত অর্থবছরের এই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি ডলারের। তবে জুলাই-এপ্রিল মাসে পূরণ হয়নি পোশাক রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।

এ সময়ে দেশের পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ৯৭৪ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম পোশাক রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রপ্তানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রপ্তানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন। 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ২২ হাজার ৮৭৮ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যা ৯ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে নিটওয়্যার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৯৬৭ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে ২৩ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিটওয়্যার রপ্তানি কম হয়েছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ।

এছাড়া তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ১৭ হাজার ৬১৫ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৬০৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি কম হয়েছে ১০ দশমিক ১২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। কৃষি পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। হোমটেক্সটাইল পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।

×