ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

উপস্থিত ছিলেন সওজের কর্মকর্তারাও

তাপপ্রবাহে পিচ গলে যাওয়া সড়ক তদন্তে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২ মে ২০২৪

তাপপ্রবাহে পিচ গলে যাওয়া সড়ক তদন্তে দুদক

যশোর-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ গলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন

যশোরে তাপপ্রবাহে পিচ গলা সড়ক তদন্তে নেমেছে দুদক। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় যশোর নড়াইল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষার পাশাপাশি সড়কের তাপমাত্রা দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা। দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে চলতি মৌসুমে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই সপ্তাহ আগ থেকেই প্রচ- এ তাপপ্রবাহের কারণে গলতে শুরু করে যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের পিচ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরিবহন শ্রমিক, নেতাসহ সচেতন মহলের দাবি দুর্নীতি করতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় পিচ গলে যাচ্ছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে সমস্যায় পড়ছেন চালকরা।

বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে যশোর-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষার পাশাপাশি সড়কের তাপমাত্রা দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা। এ সময় তারা সড়কের কাজ নিম্নমানের বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়। সড়ক পরিদর্শনকালে দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে যশোর-নড়াইল সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। তদন্তের স্বার্থে আমরা এর বেশি বলতে পারছি না।’
সরেজমিনে যশোর-নড়াইল সড়কের যশোর অংশের ঝুমঝুমপুর এলাকাতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারও সড়কের পিচ গলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সড়কে যান চলাচলের সময় পিচ চাকায় লেগে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও যানবাহনের চাকার দাগ বসে যাচ্ছে সড়কে। যশোর-নড়াইল সড়ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এই সড়ক সংস্কারের সময়। এ সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ জায়গার পিচ গলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে; গরমে সেখানে বিটুমিন গলে যাচ্ছে। এ জন্য গলে যাওয়া স্থানগুলোতে বালি ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে; যাতে গলে যাওয়া পিচ পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সড়কে নিম্নমানের কোনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, দুদক তদন্ত করছে। অনিয়ম হলে তাদের তদন্তে জানা যাবে।

×