
তালাবদ্ধ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: জনকণ্ঠ
সরকারি বরাদ্দ না থাকায় গত চার মাস ধরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি অ্যাম্বুলেন্স তালাবদ্ধ করে করে রাখা হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের পাশাপাশি রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্সের সেবা বঞ্চিত হলেও সংকট নিরসনে কার্যকর কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।জানা যায়, ২০০৯ সালে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ এখান থেকে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করে থাকেন। প্রতিদিন এখানে অন্তত ৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। প্রতিদিনই এই হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক রোগীদেরকে জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে প্রেরণ করতে হয়। সরকারিভাবে জ্বালানির বরাদ্দ না থাকায় গত ৪ মাস ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি খরচ হয় ১৮-২০ লাখ টাকা। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মাত্র ৭-১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতদিন ফিলিং স্টেশনের সঙ্গে বাৎসরিক চুক্তিতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চলছিল। গত অর্থবছরে জ্বালানি বাবদ ১৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় সরকারি দুটি অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে আসা একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না থাকায় তিনগুণ টাকা বেশি খরচ করে রোগীকে জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে। এতে করে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি বেড়েছে।
হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে ব্যয় হয় সীমিত। কিন্তু বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে সেই ব্যয় আরো তিনগুণ বাড়ে। জ্বালানি বাবদ ১৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় সরকারিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে তেলের বরাদ্দ না থাকায় বাধ্য হয়েই অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সংকট নিরসনে তিনি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এসআর