
স্মার্ট স্কুলে বায়োমেট্রিক মেশিনে কার্ড পাঞ্চ করছে শিক্ষার্থীরা
জেলার প্রথম স্মার্ট স্কুল হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী লায়লা। স্মার্ট বিদ্যালয় থেকে এএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে সে উচ্ছ্বসিত। এখন থেকেই স্বপ্ন দেখছে দেশের স্মার্ট নাগরিক হওয়ার। তার প্রস্তুতিও চলছে সেভাবেই। পাশের বাড়ির অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে সৌভাগ্যবান মনে করে। কখনো কখনো হিংসাও করে। তবে তা প্রতিহিংসা নয়।
অভিভাবকরাও সন্তানকে স্কুলের প্রিয়তম সন্তান কখন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে, আবার কখন বিদালয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এসব খবর পাচ্ছেন ঘরে বসেই। বায়োমেট্রিক মেশিন অভিভাবকের মোবাইলে পৌঁছে দিচ্ছে বিদ্যালয়ে সন্তানের আসা যাওয়ার খবর। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাইরে ঘোরাফেরাও করতে পারছে না ছাত্রীরা। বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার। জেলার প্রথম স্মার্ট বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা, অনলাইনে বেতন, ডিজিটাল ক্লাস, পরীক্ষা ফি গ্রহণ চলছে। মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে অভিভাবকরা নিশ্চিত হতে পারছেন তাদের সন্তানেরা স্কুলে কখন যাচ্ছে, কখন স্কুল থেকে বের হচ্ছে। আর রসিদ সিস্টেম নয়, অনলাইনে বেতন বা পরীক্ষা ফি দিয়ে মেসেজের মাধ্যমে নিশ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
হৈমবালা বালিকা বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, ছাত্রীরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে বায়োমেট্রিক মেশিনে নিজেদের আইডি কার্ড পাঞ্চ করে হাজিরা দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করছে। আইডি কার্ড পাঞ্চ করার পর ডাটা উঠে যাচ্ছে হাজিরা শিটে। চলতি বছরের ১৮ জুলাই বিদ্যালয়টিকে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে এর উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। প্রধান শিক্ষিকা শামীম আরা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সিদ্ধান্তে বিদ্যালয়টি সিরাজগঞ্জে প্রথম স্মার্ট বিদ্যালয় করা হয়েছে। আইডি কার্ডে পাঞ্চ করে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে। এতে উপস্থিতির হার অনেক বেড়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান মাহমুদ জানান, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা স্মার্ট বিদ্যালয় ঘোষণা করেছি। স্মার্ট বিদ্যালয়ের সব সুযোগ সুবিধা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজারে জালনোটসহ গ্রেপ্তার এক
নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার ॥ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৯-এর অভিযানে মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকা থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার জালনোটসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে র্যাব-৯ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, মঙ্গলবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের জালনোটসহ চক্রের সদস্য কারিন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি কারিন্দ্র সরকার (৪৫) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বড় উজিরপুর গ্রামের ভালেস্বর সরকারের ছেলে।