
বালিশ মিষ্টি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কাটাগড় মেলার বিশেষ আকর্ষণ বালিশ মিষ্টি। ৫ কেজি ওজনের এক পিস বালিশ মিষ্টির দাম ৩ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ২৬ মার্চ ও ২৭ মার্চ উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় বিশাল মাঠ জুড়ে প্রায় ৩০০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মেলায় প্রায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় গতবার থেকে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বালিশ মিষ্টির বেশ কদর-সুনাম ছড়িয়েছে। গত দুই বছর থেকে মেলায় এ মিষ্টির যাত্রা শুরু। সর্বনিম্ন ৪০০ গ্রাম সাইজের এক পিস বালিশ মিষ্টির দাম ১০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ৫ কেজি ওজনের এক পিস বালিশ মিষ্টির দাম ৩ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম যাই হোক মেলার প্রধান আকর্ষণ এ বালিশ মিষ্টি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
মেলায় আগত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী বাজারের নিউ রাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক রামানন্দ বিশ্বাস জনকণ্ঠকে বলেন, স্থায়ী দোকান ছাড়াও আমরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় মিষ্টির দোকান দেই। তবে কাটাগড় মেলার আলাদা ঐতিহ্য আছে। এখানে প্রতি বছর লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। গতবার থেকে বালিশ মিষ্টি বিক্রি করছি। তিনি বলেন, ২ কেজি ওজনের এক পিস বালিশ মিষ্টির দাম ১৫০০ টাকা, ৪ কেজির দাম ২০০০ টাকা ও ৫ কেজি ওজনের এক পিসের দাম ৩০০০ হাজার টাকা।
মেলায় আগত বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি চন্দ্র কিশোর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনি জনকণ্ঠকে বলেন, ছোটবেলা ছাত্রজীবন থেকেই এ মেলায় নিয়মিত আসি। এবারও ঐতিহ্যবাহী কাটাগড়ের মেলায় এসেছি।
মাটির খুঁটিতে সাজ, বাতাসা, কদমা কেনা মেলার পুরাতন ঐতিহ্য এখনো রয়ে গেছে। মেলার আকর্ষণীয় বালিশ মিষ্টি খেলাম। ৫ কেজি ওজনের এক পিস বালিশ মিষ্টি বাড়ির জন্যও কিনে নিলাম।
রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছরও মেলার আয়তন প্রায় তিন কিলোমিটার হবে। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের পাঁচ হাজারের অধিক দোকানের পসরা বসেছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ বালিশ মিষ্টি। বিক্রেতারা জানান মুটামুটি ভালোই বেচাবিক্রি হচ্ছে। এ মেলায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসেন। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়।
এসআর