নিহত সাইফুল ইসলাম
টিকটক করা নিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশত গ্রামবাসী।
বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শহরের ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন, সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সাইফুল ইসলাম মারা যান। নিহত সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর পুত্র। এ ছাড়া রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনসহ আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক যুবক-যুবতি টিকটক ভিডিও করার সময় তাদের বাধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র রাজ্জাক, আহমদ আলীর পুত্র মান্নাসহ তাদের সহযোগিরা। এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র মামুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হলে এ নিয়ে প্রথমে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়েছে। পরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা গোলচত্তর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান, একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর চালানো হয়। ছাতক থানা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এমএইচ
