ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভেদরগঞ্জ উপজেলায় আতঙ্কের নাম ইমরান মুন্সী

কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি 

প্রকাশিত: ১৯:১৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২; আপডেট: ২১:৩০, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি 

ভেকুমেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটির কাটা হচ্ছে

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জনগণের আতঙ্কের নাম ইমরান মুন্সী। কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং তা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেষে রেখে সামীনা প্রাচীর ভেঙে ফেলা, উন্নয়নমূলক কাজের আগে ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, এমনকি তাকে চাঁদা না দিলে এলাকার সাধারণ মানুষ সামাজিক অনুষ্ঠানও করতে পারেন না। বিভিন্ন সময়ে তার অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস অভিযান-মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় গত জুলাই মাসে ভেদরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তার ড্রেজারের পাইপ কেটে দেয়। এরপর গত নভেম্বর মাসে বালু উত্তোলন করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে জমা করে রাখা হয়। এতে বালুর চাপে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর ভেঙে যায়। ভেকুমেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রিও করছে ইমরান মুন্সী। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভূমি অফিস সরেজমিনে অভিযান চালালে ইমরান মুন্সী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। 


জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাবিব নাদিম বলেন, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। জুলাই মাসে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। এরপরও এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

গত বুধবারও ভেকুমেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার সময় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে নির্বাহী অফিসার ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনারকে সেখানে পাঠান। এসময় ইমরান মুন্সী ও তার লোকজন মেশিন রেখে পালিয়ে যায়। জানা গেছে, ইমরান মুন্সীর বাবা আব্দুল হক মুন্সী বিএনপির রাজনীতি করেন। জিয়া সরকারের সৃষ্টি করা গ্রাম সরকারের প্রধান ছিলেন তিনি। ইমরানের চাচা চাচা মফিজুল ইসলাম টুলু মুন্সী উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি ছিলেন। ইমরানের এক ভাই সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলছে না। 

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইমরান মুন্সীর বিরুদ্ধে ভেকুমেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটা, বালু উত্তোলনসহ এসব অভিযোগ প্রায়ই আসছে। আমরা অভিযানে গিয়ে তাকে পাইনি। মূলত সে লোকজন দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার পর সে মেরামত করে দিবে বলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে আশ্বস্থ করেছেন। পরে এ ঘটনায় আর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তার অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। 
 

ফজলু

×