
সহজ হয়েছে ফেরিতে পারাপার
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমেছে। যে নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন লাখো যাত্রী ও কয়েক হাজার যানবাহন নদী পারাপার হতো সেই নৌরুটের ফেরিগুলো এখন যানবাহনের অপেক্ষায় থাকে। যে কারণে ঘাটে এলেই সহজে ওঠা যাচ্ছে ফেরিতে। দিনের পর দিন অপেক্ষার সময় ফুরিয়েছে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের।
শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের কোনও সিরিয়াল নেই। যেখানে কয়েক দিন আগেও ফেরি দিয়ে পারাপারের জন্য মহাসড়কে দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতো পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস, সেই মহাসড়ক এখন ফাঁকা।
পদ্মা সেতু চালুর পর পাল্টে গেছে ঘাটের চিত্র। যেসব যানবাহন নদী পারের জন্য আসছে সেগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। অধিকাংশ ফেরিই যানবাহনের জন্য প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। আবার কোনও কোনও সময় যানবাহন না পেয়ে অর্ধেক জায়গা ফাঁকা রেখেই ঘাট ছাড়ছে ফেরিগুলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দৌলতদিয়া নৌরুটে পাঁচ দিনে যানবাহন কমেছে ৭ হাজার ৬৮৮টি। তবে আমরা আশা করছি আর কয়েকদিন পর কোরবানির ঈদ, সে সময় গরুর ট্রাকসহ যানবাহনের চাপ পড়বে। তবে ঈদ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা চাই ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরুক। আমরা এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকবো। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ছোট-বড় ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি চারটি ফেরির মধ্যে একটি ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্র মল্লিকা পাটুরিয়ার মধুমতি ভাসমান কারখানা ডকইয়ার্ডে মেরামতে রয়েছে এবং যানবাহন কম থাকায় তিনটি টানা (ডাম্প) ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে।