স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নীলফামারীর কৃষকের মাঝে রোপা আমন ধানের চারা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সরকারীভাবে বিনামূল্যে লেট ভ্যারাইটি বীনাসাইল জাতের আমন ধানের চারা বিতরনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ছয়শত কৃষকদের মাঝে এই চারা বিতরনের আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়।
এসময় সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন,‘বন্যার ক্ষতি মোকাবেলার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতিপুষিয়ে নিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বসে না থেকে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা যাচ্ছেন, পরিদর্শণ করছেন, ত্রাণ বিতরণ করছেন, মানুষের সহযোগীতা করছেন।’ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঠিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘উত্তরাঞ্চলে এবারের বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। আমার ৭০ বছর বয়সে এধরণের বন্যা দেখিনি। বন্যা প্রবন এলাকা না হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের বন্যা মোকাবেলায় তেমন প্রস্তুতি থাকে না, এ কারণে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ভবিষ্যতে বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভপতিত্বে ওই চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উয়িংয়ের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. আশ্রাফ উদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কেরামত আলী জানান, বন্যায় নীলফামারীর ছয় উপজেলার ৯২ হাজার ৩৬০ জন কৃষকের ৮ হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমির সম্পূর্ন এবং ২৯ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। টাকার অঙ্কে ওই ক্ষতির পরিমান প্রায় ১১৯ কোটি টাকা। আমন আবাদ ও অন্যান্য ফসলসহ জেলায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমান ১৬৫ কেটি টাকা।