
নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গবেষক-সংগঠক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে তোলা একাত্তরের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতির বিকল্প নেই। আর এজন্য এখন সময়ের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও একাত্তরের ঘাতকদের নির্দেশে উত্থান হওয়া জঙ্গীবাদ নির্মূল করা। এক্ষেত্রে আরও অধিক প্রয়োজন সরকারের আন্তরিকতা বাড়ানো। তিনি আজ শুক্রবার রাতে শেরপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথা বলেন। ওইসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে পুনরায় ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। পাকিস্তানের কাছে এ গণহত্যার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের ৭৩টি ট্রাইবুনাল করে ১১ হাজার গণহত্যাকারীর মধ্যে ৭১২ জনের মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দিয়েছে। বর্তমানে তারই তনয়া শেখ হাসিনার সরকার সরকার ৭৫২ জনের বিচারকাজ সমাপ্ত করেছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, আমাদের দেশে আইএসের গডফাদার হলো জামায়াতে ইসলামী। তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। আর ১৯৭৮ সালের রাজনৈতিক দল বিএনপি যুদ্ধাপরাধী-জামায়াতীদের এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করছে। জামায়াতে ইসলামীসহ সকল অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে সোনার বাংলা গঠনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অধ্যাপক ড. সুধাময় দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জেয়াদ আল মালুম, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য মানবাধিকার কর্মী অ্যারোমা দত্ত ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।