ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে লটারিতে নাম উঠা কৃষকের খোঁজে গ্রাম পুলিশ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২২ জানুয়ারি ২০২০

নান্দাইলে লটারিতে নাম উঠা কৃষকের খোঁজে গ্রাম পুলিশ

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ উপজেলায় চলতি আমন ধান সংগ্রহ অভিযানে লটারিতে বাছাই করে কৃষকদের কাছ থেকে দুই হাজার ২৮৯ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আজ বুধবার পর্যন্ত মাত্র ১৭৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। ধান সংগ্রহ অভিযানে কৃষকের সাড়া না মিলায় লটারিতে নাম উঠা কৃষকের খোঁজে বের হয়েছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। আজ বুধবার উপজেলার কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২০ জন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বোরো মওসুমে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযানের খবর যেভাবে জানাজানি হয়েছে চলতি আমন সংগ্রহ অভিযানে সেভাবে জানানো হয়নি। এ ছাড়া যেসব কৃষকদের নাম লটারির জন্য দেওয়া হয়েছে তাঁদের বেশিরভাগ আমন আবাদ করেননি। ফলে নাম তালিকায় উঠলেও অনেক কৃষকের কাছে ধান নেই। গতকাল বুধবার উপজেলা খাদ্য বিভাগের দুটি খাদ্যগুদামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের কোনো উপস্থিতি নেই। দুপুরের দিকে পাছ মুশুলী গ্রামের আবুল বাশার নামে এক কৃষক কিছু নমুনা ধান নিয়ে এসেছেন খাদ্য কর্মকর্তাকে দেখানোর জন্য। তবে তাঁর ধান নির্দিষ্ট আর্দ্রতা থেকে মুক্ত ছিল না। তাই তাঁর ধান একদিন রোদে শুকিয়ে গুদামে নিয়ে আসার জন্য বলে দিয়েছেন খাদ্য কর্মকর্তা। ওই কৃষক বলেন, লটারিতে বাছাইয়ে তাঁর নাম উঠার কথা তিনি জানতেন না। পাড়ার গ্রামপুলিশ সদস্যের মাধ্যমে সেটা জানতে পেরেছেন। তাঁর নাতি রঙ্গু মিয়ার নাম উঠলেও রঙ্গু আমন আবাদ করেননি। এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আলাল উদ্দিন বলেন, কৃষক আসলেই তাঁদের কাছ থেকে আমরা ধান কিনছি। কৃষকদের সাড়া না থাকার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের ঘোষণা প্রচারের পর ধানের বাজার দর বেড়ে গেছে। আমরা ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেখব। তারপরও যদি পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কৃষকদের ডেকে তাঁদের ধান কেনা হবে। ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সুজন বলেন, লটারির মাধ্যমে করা কৃষকের তালিকা গ্রাম পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের সাড়া পাওয়া না গেলে ৩০ জানুয়ারির পর নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
×