ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবিতে পথসভা

প্রকাশিত: ০১:০৪, ২১ নভেম্বর ২০১৭

শেরপুরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবিতে পথসভা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে খাল-বিল, নদী-নালা, উন্মুক্ত জলাশয় সংস্কার, সংরক্ষণ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবিতে পথসভা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ শেরপুর জেলা কমিটির আয়োজনে শহরের বটতলা মোড় ও কালেক্টরেট প্রধান ফটকের সামনে ওই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ করে বিষয়গুলো খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আশ্বস্ত করেন। পথসভায় জনউদ্যোগ আহ্বায়ক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে চেম্বার সহ-সভাপতি পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, জেলা আ’লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামীম হোসেন, জেলা মহিলা পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক আইরীন পারভীন, সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক সোলাইমান আহমেদ, রজীবা সভাপতি সোহেলা রানা, আদিবাসী নেতা সুমন্ত বর্মন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তরা বলেন, জেলার বেশীর ভাগ খাল-বিল, নদী-নালা, ও উন্মুক্ত জলাশয় অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। দখলদারদের দ্রুত উচ্ছেদ করে খাল-বিল, নদী-নালা, ও উন্মুক্ত জলাশয়গুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করে পরিবেশের মারাত্বক বিপর্যয়ের হাত থেকে জেলাবাসীকে রক্ষার দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, শেরপুর জেলায় কাগজে-কলমে ২০টি খাল ও ৫৬টি বিলের উল্লেখ থাকলেও অধিকাংশ খাল-বিল আজ অস্তিত্বহীন। ভূয়া কাজগপত্র তৈরী করে অথবা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে সরকারি খাস জমি দখল করা হয়েছে। জেলার প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাণের স্বাভাবিক গতি বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নেমে আসছে নানা প্রাকতিক দুর্যোগ, পাল্টে যাচ্ছে ফসলের মৌসুম। এতে কৃষিনির্ভর শেরপুর জেলার কৃষি অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এসব বিল ও এর আশপাশের অধিকাংশ জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে খাল-বিল, নদী-নালা উন্মুক্ত জলাশয়গুলো সংস্কার, সংরক্ষণ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ জরুরী হয়ে পড়েছে। পথসভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, নারীনেত্রী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিক ও ভুক্তভোগী লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
×