ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে কিশোরী অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০১:০৯, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

শেরপুরে কিশোরী অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে এক কিশোরীকে (১৪) অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং তাকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, উভয় জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক (২৬) নামে এক যুবক। সোমবার দুপুরে শিশু আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আসামীর উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। তবে উভয় দন্ড একইসাথে চলবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। দন্ডিত যুবক আব্দুর রাজ্জাক ঝিনাইগাতী উপজেলার লয়খা গ্রামের মোঃ জোনাব আলীর ছেলে। একইসাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত দুলাল মিয়া নামে মামলার অপর আসামীকে বেকসুর খালাস দেন। শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার নথির উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের ১১ মে সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার লয়খা গ্রামের লম্পট আব্দুর রাজ্জাক প্রতিবেশী কিশোরী ও পার্শ্ববর্তী মালিঝিকান্দা আয়েশা সিদ্দিকা কওমী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে স্থানীয় কোয়ারীরোড মোড় থেকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১৬ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আব্দুর রাজ্জাকসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। তদন্তাধীন অবস্থায় ২৮ মে অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধারসহ আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ঝিনাইগাতী থানার এসআই খোকন চন্দ্র সরকার একই বছরের ৩১ আগস্ট আব্দুর রাজ্জাক ও দুলাল মিয়াসহ ২ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষে বাদী, ভিকটিম. চিকিৎসকসহ ৬ জন এবং আসামীপক্ষে ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে কেবল রাজ্জাককে দোষী সাব্যস্ত করে ওই সাজা দেওয়া হয়।
×