ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গামাটিতে আবার ভারি বর্ষণ ॥ রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় ধস

প্রকাশিত: ০১:২৭, ১২ আগস্ট ২০১৭

রাঙ্গামাটিতে আবার ভারি বর্ষণ ॥ রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কে পাহাড় ধস

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ॥ টানা ২ দিনের প্রবল বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে আবারও ভয়াবহ প্রাকৃতিক মহাবির্পযয় দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলে দূর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলায় বিস্তিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।একই সঙ্গে কাপ্তাই বাধঁ ঝুকিঁ মুক্ত রাখতে ১৬টি স্পিল ওয়ে দিয়ে ২ ফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে। যা দিয়ে সেকেন্ডে ১৮ কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। এদিকে ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে জেলার কয়েকটি উপজেলার নিম্নান্ঞ্চল প্লাবিত। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও ঝুকিতে পড়েছে । শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত টানা ৩২ ঘন্টার ভারি বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া ও চাম্পাতলি এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়ক শুক্রবার দুপুর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার দিকে সীমিত আকারে হাল্কা যান চলাচল কররেও শনিবার সকাল থেকে পুনরায যানবাহন চলাবর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকালের দিকে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান। জেলার সাথে উপজেলার আভ্যন্তরীন সড়কগুলোও বর্তমানে ঝঁকিপূরাণ অবস্থায় রয়েছে। গত ১৩ জুনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপরয়য়ের পর আবারো টানা প্রবল বর্ষনের কারণে রাঙ্গামাটির লোকজনের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। প্রবল বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটি জেলার জেলা সদর সহ বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই ও নানিয়ারচরের নিম্নান্ঞ্চল প¬াবিত হওয়ায় প্রায় ১ হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাঘাইছড়িতে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে । রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কে শনিবার বিকার থেকে সীমিত পরিসরে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে হাল্কা যান চলাচল করছে। প্রবল বর্ষনের কারণে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা এবং উপজেলা পরযায়ে সতর্কতা জারী করা হয়েছে। প্রবল বর্ষনের কারণে সৃষ্ট ভূমি ধ্বসে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা, নানিয়ারচর উপজেলা এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার কয়েকটি এলাকার নিম্নান্ঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন দুই দিনের প্রবল বর্ষনের কারণে কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা সদর , বটতরী ,তুলাবান সহ কয়েকটি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী লোকজনদের মাঝে ত্রান সহায়তা হিসাবে বিতরনের জন্য ১৫ মেট্টিক টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে প্রবল বর্ষন এবং পাহাড়ী ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই জলতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলকায় পনির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপ্তাই জলতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শফিউল আহেমেদ জানিয়েছেন শনিবার সকাল ১০ টায় বাঁধ এলাকায় পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.০২ এম.এস.এল । রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময় পানির উচ্চতা থাকার কথা ৯২.৫৩ এম.এস.এল । বাঁধ এলাকার পানি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য শনিবার সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটের পর হতে বাঁদের ১৬ টি স্পিল ওয়ে ২ ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে। এতে করে বাঁধ এলাকা দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ড ৩৮ হাজার কিউসেক পানি র্গিত হচ্ছে। তবে বাঁধ এলাকা সম্পূর্ণরুপে নিরাপদ রয়েছে বলে তিনি জানান।
×