
ছবিঃ সংগৃহীত
গতকাল (২৯ মে) বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উপকূল অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে এটি টাঙ্গাইল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে এবং নিম্নচাপের রূপে রয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ও আগামীকাল সারাদেশে বৃষ্টির ধারা মোটামুটি একইরকম থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে। ১ জুনের আশপাশে বা পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও কমে যেতে পারে এবং আবহাওয়া ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যেতে পারে। ২ জুন থেকে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিক আবহাওয়া ফিরে আসতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে নিম্নচাপটি আজকের মধ্যে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হতে পারে এবং গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারে। তবে, তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন বিভাগে বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, সাধারণত জুনের মাঝামাঝি সময়ে (১৫ জুনের মধ্যে) দেশে মৌসুমি বায়ু বা মনসুন সক্রিয় হয়। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। মে মাসের শেষের দিকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৬ বছর পর এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে যেখানে মে মাসেই এত ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
২০১৬ সালের সঙ্গে এবারের আবহাওয়ার ধারা অনেকটা মিলে গেছে। মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদি গড় হিসাবের তুলনায় ব্যতিক্রম। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের মনসুন আগেভাগেই সক্রিয় হতে পারে। এমনকি ১ অথবা ২ জুনের মধ্যেই সারাদেশে মৌসুমি বায়ুর আনুষ্ঠানিক সক্রিয়তার ঘোষণা আসতে পারে।
ইমরান