ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করব ॥ ইব্রাহিম

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২৯ অক্টোবর ২০২০

প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করব ॥ ইব্রাহিম

রুমেল খান ॥ নেপালের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ এবং ১৭ নবেম্বর যে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ঢাকায় (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে) অনুষ্ঠিত হবে, তাতে বাংলাদেশ দলের ৩৬ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের সর্বাধিক ১৪ জনই হচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার। অনুশীলন ক্যাম্প কদিন আগে শুরু হলেও বুধবারই প্রথম ক্যাম্পে হাজিরা দিয়ে অনুশীলন করেন কিংসের ফুটবলাররা। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও জাতীয় দলের ব্যানারে যুক্ত হতে পেরে আবারও উৎফুল্ল তারা। লক্ষ্যও ঠিক করে ফেলেছেন তারা। চান নেপালের বিরুদ্ধে দুটি মাচেই জয় কুড়িয়ে নিতে। এমনটাই জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের তরুণ-কুশলী মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বুধবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমরা ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলতে পারিনি। এখন অবেশেষে নেপালের বিরুদ্ধে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার মাধ্যমে আমরা মাঠে ফিরতে যাচ্ছি। করোনাকালীন দীর্ঘ প্রায় সাত মাস আমরা খেলার মাঠে না থাকলেও একেবারে ঘরে বসে ছিলাম না। আমাদের সিডিউল দেয়া ছিল কিভাবে আমরা ট্রেনিং করে শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে পারি, কি কি খেলে উপকার হবে, জীবনযাপন প্রণালী কেমন হবে। সেই নিদের্শনাগুলোই আমরা পালন করার চেষ্টা করেছি।’ ইব্রাহিম আরও যোগ করেন, ‘যেহেতু করোনার পরে আমরা খেলতে নামছি, কাজেই দেশবাসীর প্রত্যাশা থাকবে আমাদের ঘিরে। তাদের সেই প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। চাইব দুটি ম্যাচেই নেপালকে হারিয়ে দিতে।’ ৩৬ জনের প্রাথমিক দল থেকে আরও কেটেছেঁটে কোচ জেমি ডে চূড়ান্ত দল গঠন করবেন কদিন পরেই। ইব্রাহিম মনে করেন, ‘চূড়ান্ত দল তো বটেই, প্রথম একাদশেও জায়গা করে নেয়াটা হবে তার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। অবশ্য এটা বাকি সবার জন্যও একইভাবে প্রযোজ্য। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘করেনোর কারণে আমরা সবাই ফুটবলের বাইরে ছিলাম। যতই কোচ বা ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনা মেনে অনুশীলন করে থাকি না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে কেউই আমরা শতভাগ ফিট থাকতে পারিনি। এখন তাই ফিটনেস ঠিক করে মূল দলে জায়গা করে নেয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। ফাইট করেই সবাইকে বেস্ট ইলেভেনে জায়গা করে নিতে হবে। বুধবার কিংসের ১৪ ফুটবলার অনুশীলনে যোগ দিলেও ফিনল্যান্ড ফেরত তারিক কাজী অনুশীলন করেননি। কারণ দীর্ঘ বিমানযাত্রার কারণে ক্লান্ত ছিলেন তিনি। তবে অনুশীলন না করলেও মাঠে উপস্থিত থেকে সতীর্থদের অনুশীলন দেখেছেন। অনুশীলনে প্রাধান্য পেয়েছে খেলোয়াড়দের বিপ টেস্ট। টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের বিপ টেস্ট নিয়েছেন ভাগ ভাগ করে। জাতীয় দলের অনুশীলনে সব ফুটবলারদের একাগ্রতা দেখে বেশ উজ্জীবীত ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, ‘কোভিড নাইন্টিনের কারণে সাড়ে সাত মাঠের বাইরে ছিলাম। অবশেষে আবারও আমরা জাতীয় দলের ফুটবলাররা একসঙ্গে হয়ে আবারও অনুশীলনে এসেছি।
×