ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে টপকে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে টপকে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল যে ক্রমেই দুর্বার হয়ে উঠছে এতে কোন সংশয় নেই কারও মধ্যে। কিন্তু সময়ে বদলে যায় অনেক কিছুই। গত বছর পুরোটা সময় দুর্দান্ত খেলেছে মাশরাফির নেতৃত্বে টাইগাররা। অথচ ২০১৪ সালটা একেবারেই বাজে কেটেছিল। গত বছর আগস্টেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের সেরা র‌্যাঙ্কিং ৭ নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ। নিশ্চিত হয়েছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ। তবে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও একইভাবে বাছাই খেলতে হবে র‌্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বরে থাকা দুটি টেস্ট খেলুড়ে দলকে। শীর্ষ ৮ দল সরাসরি খেলবে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আরেকটি র‌্যাঙ্কিং ঘোষিত হবে, সেখানে সেরা আটের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশকে সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে। এর আগেই আরও দুই ধাপ উন্নতির সুসংবাদ আসছে। আইসিসির সভা থেকে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমনটাই জানিয়েছেন। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বরে উঠে গেছে বাংলাদেশ। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসাটাই বাকি। ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেস্ট খেলুড়ে কোন দলকে বাছাই খেলতে হয়নি। কিন্তু ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ১২তম আসরের কলেবর কমানো হচ্ছে। মাত্র ১০ দল নিয়ে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অথচ ২০১৫ সালে ১৪ দল অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে ৮ টেস্ট দল। ইংল্যান্ড আয়োজক হিসেবে এবং ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত আইসিসির সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা শীর্ষ ৭ দল। বাকি দুই টেস্ট খেলুড়ে দল আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাছাই খেলবে এবং সেখান থেকে আরও ২ দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। ২০১৫ সালেই নিজেদের অবস্থানটা ওপরে নিয়ে গেছে টাইগাররা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীনে ২০১৪ সালের নবেম্বর থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেটে ক্রিকেট পরাশক্তিদের সামনে মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের পুরোটা সময় হারের বৃত্তে ঘুরতে থাকা দলের নেতৃত্ব ভার পেয়েই জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে দলকে ৫-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতান তিনি। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত খেলে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা, বিশ্বকাপের পর প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০, ভারতের বিপক্ষে ২-১ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়। ২০১৫ সালের ওয়ানডে অভিযান শেষ হয় আবারও জিম্বাবুইয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। জুনে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেই বাংলাদেশ উঠে এসেছিল সাত নম্বরে। আর সেটা ধরে রেখেছিল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত। সে কারণে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ করে নেয়। এবার ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপও নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। কারণ আরও উঁচুতে উঠছে টাইগাররা। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে সাত থেকে বাংলাদেশ উঠে গেছে পাঁচে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসাই বাকি। বছরের একটা পর্যায়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ করে আইসিসি। এর মধ্যে কোন ম্যাচ না খেললেও এই হালনাগাদের ফলেই বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০১। র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল দুই ধাপ। ১২৮ রেটিং পয়ে?ন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড (১১৭ রেটিং), ভারত (১১৫), দক্ষিণ আফ্রিকা (১১৪)। আইসিসির সভা থেকে ফিরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেছেন এ খবর। হালনাগাদ করার সময় গত এক বছরের সব ম্যাচের শতভাগ পয়েন্ট এবং এর আগের দুই বছরের ম্যাচগুলোর ৫০ শতাংশ পয়েন্ট যুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘আমাদের জন্য উল্লেখ্যযোগ্য আইসিসি রবিবার বোর্ড মিটিংয়ে আমাদের কাছে আইসিসির ওয়ানডের বর্তমান র‌্যাঙ্কিংটা প্রকাশ করেছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল আমার ৭ নম্বরে আছি। কিন্তু কালকে (রবিবার) এটা আইসিসি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাঁচ নম্বরে। এই কারণে আমাদের বাছাইপর্ব খেলতে হবে না। কারণ আমাদের পয়েন্ট হচ্ছে ১০১। পাকিস্তানের ৭৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৩। আমাদের থেকে ওদের পয়েন্টে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখন লক্ষ্য এটাকে ধরে রাখা।‘ ধরে রাখতে না পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপ তো বটেই আইসিসির আরও বড় আসরে খেলার জন্য ঝামেলা পোহাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘সুবিধার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে পারফর্মেন্স। এরপর বিভিন্ন সময় বাছাইপর্ব খেলতে হয়; সেটা আর খেলতে হবে না। এফটিপিতে দলগুলোর সঙ্গে আমাদের খেলা আছে। তার বাইরেও আমাদের অনেক খেলা আসবে।’
×