স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ একজনের নেতৃত্বে ওয়ানডেতে খেলেছেন বাংলাদেশ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যার নেতৃত্বে খেলেছেন তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এতটাই ভাল পারফর্মেন্স করেছেন এ বছর যে আইসিসির ওয়ানডে ক্রিকেটার তালিকায় সেরা একাদশে আছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশ থেকে প্রথম কোন ক্রিকেটার হিসেবে এ তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন। আরেকজনের নেতৃত্বে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলছেন। তিনি মহাতারকা, শ্রীলঙ্কান কুমার সাঙ্গাকারা। দু’জনকেই বস বললেন মুস্তাফিজ। যখন তাকে প্রশ্ন করা হল মাশরাফি ও সাঙ্গার অধিনায়কত্ব নিয়ে; তখন খুব অল্প করে বললেন, ‘এখানে বলার কিছু নাই। দু’জনই বস।’
এ বছর ১৮ জুন অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ ওয়ানডে খেলেছেন। তাতেই ২৬ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। এতটাই ভাল পারফর্মেন্স করেছেন যে, আইসিসি তাকে গর্বিতও করেছে। প্রথমবার কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটার আইসিসির ওয়ানডে বর্ষসেরা ক্রিকেটার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসান প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বর্ষসেরা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। তবে সেটি টেস্ট দল ছিল।
১৯ বছর বয়সী এই বিস্ময়-বালকের প্রতিভার স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মুস্তাফিজ এমন কৃতিত্ব জানার ব্যাপারে বলেন, ‘আমি ওই সময় মাঠে ছিলাম। সবাই অভিনন্দন জানিয়েছে। পরে বলল তুমি আইসিসির ১১ জনের দলে আছ। ওই সময় আমার অনেক ভাল লেগেছে। আমার দেশের থেকে আমি প্রথম।’
খুব অল্প সময়েই এমন সাফল্য মিলল। মুস্তাফিজ এ নিয়ে জানান, ‘ওইভাবে আমি চিন্তা করি না। প্রথমে যখন আমাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে আমার সব সময় ভাল খেলার চিন্তা ছিল। উপরওয়ালা আমাকে দিয়েছেন এ জন্য।’
খবরটা মুস্তাফিজকে ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যানেজার জানান। মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজার। টিম ম্যানেজার প্রথমে একবার বলেছিল মাঠের বাইরে থাকতে। আমি মাঠেই নিশ্চিত হয়েছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘বেশি খুশি হওয়ারই কথা। ওয়ানডেতে আমি ১১ জনের ভেতরে। আর ওখানে বড় বড় খেলোয়াড়রা আছেন। ছোট হিসেবে আমাকে নিয়েছে, এজন্য বেশি ভাল লাগছে।’
মুস্তাফিজ এখন আরও ভাল ক্রিকেট খেলতে চান। বলেছেন, ‘আমার সব সময় চিন্তা থাকে ভাল বোলিং করার। আগে হোক আর পরে হোক সব সময় চিন্তা থাকে ভাল বোলিং করার। দেশের হয়ে কিছু করার।’
চিটাগাং ভাইকিংসের পেসার মোহাম্মদ আমিরকে দারুণ পছন্দ করেন মুস্তাফিজ। কিন্তু বিপিএলের ১১ দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পছন্দের ক্রিকেটারের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কথাই হয়নি মুস্তাফিজের, ‘এমনি কথা হয়েছে, হায় হ্যালো।’ মুস্তাফিজের সামনে অবারিত সুযোগ সাঙ্গাকারার পরামর্শ নেয়ার। ক্রিকেট নিয়ে বিস্তারিত জানার। যেহেতু ঢাকারই অধিনায়ক সাঙ্গাকারা। কিন্তু সেটিও এখনও হয়নি মুস্তাফিজের, ‘না, এ বিষয়ে হয় নাই। প্রথমে আমাকে নেটে দেখার পর থেকে পাশে নিয়ে, বোলিং করার সময়, সব সময় ভাল বলে। সঙ্গে করে রাখে।’