ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

মোড়ক উন্মোচন করলেন জনকণ্ঠ সম্পাদক শামীমা এ খান

আতিকউল্লাহ খান মাসুদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৯ আগস্ট ২০২৩

আতিকউল্লাহ খান মাসুদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ

মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ

গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রয়াত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘বহুমাত্রিক এক জীবনযাত্রী’ শিরোনামে প্রকাশিত গ্রন্থটির সম্পাদক ও প্রকাশক জনকণ্ঠের সম্পাদক শামীমা এ খান। তিনিই মঙ্গলবার মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের জন্মদিনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। 
দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিচারপতি, আইনজীবীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের লেখা বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে। আতিকউল্লাহ খান মাসুদের ঘনিষ্ঠজনরাও লিখেছেন বইতে। এসব লেখা তার বিগত জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রকাশিত জনকণ্ঠের বিশেষ সংখ্যায় ছাপা হয়েছে। লেখাগুলো সংকলন করে এবার বই আকারে পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া হলো। 
বইয়ের লেখকদের একেকজন একেক দৃষ্টিকোণ থেকে আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে দেখেছেন। তাদের দেখার অভিজ্ঞতা, একসঙ্গে পথচলার স্মৃতি, নির্মোহ মূল্যায়ন বইটিকে  যেমন তথ্যপূর্ণ করেছে, তেমনি করেছে সুখপাঠ্য। ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে বিচিত্র বিষয়ের অবতারণা হয়েছে বইতে। এ সব লেখার মধ্য দিয়ে মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ পাবেন পাঠক। 
প্রাসঙ্গিকভাবেই এ বইয়ের আলোচনার বিষয় হয়ে এসেছে আধুনিক সংবাদপত্র শিল্পের অগ্রযাত্রার ইতিহাস, বহুবিধ চ্যালেঞ্জ, দৈনিক জনকণ্ঠের হাত ধরে আসা বৈপ্লবিক পরিবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক লড়াই, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন ও সংগ্রামের কথা। এ জায়গা থেকে দেখলে বইটি শুধু ব্যক্তি আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে নয়, বরং তার ঘটনাবহুল সময়কাল ও কীর্তি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিয়েছে।   
আতিকউল্লাহ খান মাসুদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ১৯৭১। বীর মুক্তিযোদ্ধা সেই সময় ও সময়ের দাবির কথা জীবদ্দশায় লিখে নিবন্ধ আকারে লিখে গিয়েছেন। তার নাতিদীর্ঘ লেখা এ বইয়ের খুবই উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ‘যুদ্ধ দিনের স্মৃতি’ শীর্ষক লেখায় অস্ত্র হাতে লড়াইয়ের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন অকুতোভয় যোদ্ধা। এ ছাড়া বইটিতে স্থান পেয়েছে তার ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের একগুচ্ছ আলোকচিত্র। সব মিলিয়ে আতিকউল্লাহ খান মাসুদের স্মৃতি সংরক্ষণে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আশা প্রকাশনা সংশ্লিষ্টদের। 
বইয়ের সম্পাদকম-লীতে রয়েছেন জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল কবির, ফিচার সম্পাদক মারুফ রায়হান, সহকারী সম্পাদক তাপস মজুমদার এবং সহিত্য সম্পাদক মিলু শামস। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন আইয়ুব আল আমীন। অলঙ্করণ করেছেন মফিজুর রহমান। 
লেখক তালিকাটি অনেক দীর্ঘ। এ তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ। আছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিশিষ্ট অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ সেনগুপ্ত, গায়ক ফেরদৌস ওয়াহীদ। লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিবিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। আতিকউল্লাহ খান মাসুদের অবদানের কথা লিখেছেন সিনিয়র সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, লেখক খুররম মমতাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, সিনিয়র সাংবাদিক প্রয়াত রণেশ মৈত্র, লেখক মমতাজ লতিফ, সাবেক বৈমানিক ও লেখক আলমগীর সাত্তার, ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন, সাবেক কূটনৈতিক ওয়ালিউর রহমান। কর্মসূত্রে কাছ থেকে আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে দেখার অভিজ্ঞতা লিখেছেন সিনিয়র সাংবাদিক রেজোয়ানুল হক, ওবায়দুল কবির, মোয়াজ্জেমুল হক, মারুফ রায়হান, ইলিয়াস খান, দেলওয়ার হোসেন, কামরুল হাসান, মাহমুদ হাফিজ, শেখ সাইফুর রহমান, কাওসার রহমান, সালাম মাসরুর, উত্তম চক্রবর্তী, মজিবুর রহমান, সমুদ্র হক, মোরসালিন মিজান, মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, শিউলী আহমেদ, হাসান নাসির প্রমুখ। 
২৪৪ পৃষ্ঠার বইয়ের মূল্য ৩০০ টাকা। জনকণ্ঠের উদ্যোগে প্রকাশিত বইটি মুদ্রিত হয়েছে গ্লোব প্রিন্টার্স লিমিটেড থেকে। অঙ্গসজ্জা করেছেন মফিজুর রহমান। সহসাই বইটি সারাদেশের উল্লেখযোগ্য লাইব্রেরিগুলোতে পাওয়া যাবে।

×