
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ফুকিউরা তাদামাসার ক্যামেরায় বঙ্গবন্ধু
পৃথিবী জুড়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধু এবং ভক্তের সংখ্যা অগণন। পার্শ্ববর্তী ভারতকে বাদ দিলে আশ্চর্যের বিষয় যে, অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের চেয়ে তাঁর বন্ধু ও ভক্ত জাপানেই ছিলেন বেশি। এবং অবশ্যই তাঁরা সামান্য সাধারণ নাগরিক ছিলেন না। রাজনীতি, শিক্ষা, গবেষণা, জনসেবা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিবৃন্দ বাঙালির উদীয়মান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তাঁর রাজনৈতিক কর্মকা-ের কথা জানতেন, চিনতেন ১৯৪৭ সালের ভারতভাগের পর থেকেই। ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবকে আটক করা হলে জাপানেও তার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ছাত্রদের একাংশ এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছিলেন।
প্রায় দুই দশক আগে ইবারাকি প্রদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন বাংলাদেশ য়ুউকোও কিয়োওকাই (বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি) সংগঠনের অন্যতম পরিচালক ইশিকাওয়া তামোন একবার আমাকে সেকথা বলেছিলেন। তখন তিনি প্রসিদ্ধ নিহোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকে যাঁরা জানতেন এবং চিনতেন তাঁর মহাপ্রয়াণ পর্যন্ত, তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনালখ্যাত বাঙালি বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের ভক্ত। এঁদের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক রাজনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্পকলা, ধর্ম প্রভৃতি ক্ষেত্রে গভীরতর সেই ১৯০২ সাল থেকে। এই সালে জাপানের সর্বকালের নমস্য মনীষী শিল্পাচার্য ওকাকুরা তেনশিন ভারত তথা কলিকাতা ভ্রমণ করেন এবং স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভগিনী নিবেদিতা, ধীরামাতা, অরবিন্দ ঘোষ, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু প্রমুখ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং গভীর মৈত্রীবন্ধনে বাঁধা পড়েন। বাংলা ও জাপান দুই দেশ ও জাতির মধ্যে গড়ে ওঠে বিরল এক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং প্রাচ্যভ্রাতৃবাদী ভাববিনিময় সম্পর্ক। যা আজও বিদ্যমান।
এই ভাববিনিময়ের ধারাবাহিকতায় ভারতীয় স্বাধীনতা এবং পরবর্তীকালে বিজাতীয় পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দ্বারা শাসিত, শোষিত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনচেতা বাঙালির মুক্তি-জাপানিদেরও স্বপ্ন ছিল। বিভিন্ন স্তরের খ্যাত-অখ্যাত অগণন জাপানি নাগরিকের দীর্ঘমেয়াদি সাহায্য, সহযোগিতা এবং সক্রিয় সম্পৃক্ততা এককথায় কিংবদন্তিতুল্য ইতিহাস। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ভারতীয় স্বাধীনতার ইতিহাস যেমন লেখা হয়নি ফলে বিস্মৃত সেই ইতিহাসে জাপানের অবদানের কথাও হারিয়ে গেছে, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সেসব জাপানিকে অবদানের স্মৃতিও আজ বিস্মরণের অতলে তলিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে জাপানের সঙ্গে অন্যরকম সম্পর্ক সৃষ্টি হতো তা বলাই বাহুল্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকা-ের পর বঙ্গবন্ধুর জাপানি বন্ধু, ভক্ত এবং শুভাকাক্সক্ষী সকলেই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, যেমনটি হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর ক্ষেত্রে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার যে বিপুল স্বপ্ন ও পরিকল্পনা করেছিল জাপানি নেতৃবৃন্দ সব ভেস্তে গেছে। সেই যে ছিন্ন হলো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জাপানিদের সম্পর্ক, সেটা আর পুনঃস্থাপন করা গেল না। জাপানিরা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের প্রতি কতখানি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন তা বোঝা যায় ১৯৭২ সালেই জাপান-বাংলাদেশ কিয়োওকাই (জাপান-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন) গঠন করা হয়েছিল টোকিওতে প্রাক্তন রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় জনমত গঠনে নেতৃত্বদাতা হায়াকাওয়া তাকাশির উদ্যোগে।
তাতে যাঁরা এই সংগঠনের পরিচালক, কর্মী, সদস্য এবং সহযোগী ছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন বাঙালিপ্রেমী। অধিকাংশই নেতাজির পরম ভক্ত। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাংসদ হায়াকাওয়া তাকাশি এবং দপ্তরসচিব ইতোও কোওসুকে। ইতোও ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেতাজির সহযোদ্ধা।
উক্ত জাপান-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফুকিউরা তাদামাসা, জাপানের অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিত্ব। ১৯৪১ সালে জন্ম ফুকিউরা সেনসেই (স্যার) এখন ৮২ অতিক্রম করছেন। তিনি একজন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক পতাকা বিশেষজ্ঞ। অল্প বয়স থেকেই দেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত ছিলেন এবং যখন ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পলিটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ছাত্র, তখন ১৯৬৪ সালে টোকিওর ১৮তম গ্রীষ্ম অলিম্পিকের আয়োজক কমিটিতে জাতীয় পতাকা বিষয়ক দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে অবস্থিত রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। জাপানের সহায়তা ও ত্রাণ সমিতির সহ-সভাপতি, পরামর্শদাতা নাগানো শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি এবং অন্যান্য পদগুলোর মধ্যে সায়তামা প্রিফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবেও তিনি খ্যাত। তিনি বর্তমানে অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক গেমসের টোকিও আয়োজক কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং এনওসি / এনপিসি সার্ভিস ব্যুরোর উপদেষ্টা। একইসঙ্গে জাপান সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সির কাউন্সিলর, বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়।
সাপোর্ট ২১ সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং ইউরেশিয়া ২১ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং এনপিও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জাতীয় পতাকা এবং বিশ্বসংগীতের সহ-প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে চলেছেন। সেইসঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের রচয়িতা। এসবের মাধ্য চি তো দোরো তো বানগুরাদেশু দোকুরিৎসু নো হিগেকি অর্থাৎ রক্ত, কাদা এবং বাংলাদেশ : স্বাধীনতার ট্র্যাজেডি একটি বিখ্যাত গ্রন্থ, ১৯৭৩ সালে প্রকাশ করেছে জাপানের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র য়োমিউরি শিম্বুন। সম্প্রতি সেটা বাংলায়ও অনুবাদ করেছেন ওয়াতানাবে কাজুহিরো।
এহেন ফুকিউরা স্যারেরসঙ্গে আমার পরিচয় ২০১০ সালে হঠাৎ করেই। ইন্টারনেটে তাঁর সম্পর্কে তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোন করি। আমি বাংলাদেশী নাগরিক শুনে তিনি ভীষণ চমকে ওঠেন! আমি আমার পরিচয় দেওয়ার পর তিনি বলেন, বহু বছর পর কোনো বাঙালির সঙ্গে আলাপ হলো! রহমান হত্যাকা-ের পর বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁর দলের কেউ বা তাঁর অনুসারী আর যোগাযোগ করেননি আমাদের সঙ্গে।
তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ যৌক্তিক। এখনো বাংলাদেশ সরকারের বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা নেত্রী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন জাপানে এসে আমার জানা নেই। কিন্তু তিনি বাংলাদেশকে ভোলেননি, বঙ্গবন্ধুকে ভোলেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে জাপানে কাজ করেছেন। বেসরকারিভাবে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জোরদার করার জন্য ১৯৭৪ সালে তৎকালীন রাজপুত্র আকিহিতো, পরবর্তীকালে যিনি জাপানের ১২৫তম সম্রাট হয়েছিলেন (১৯৮৯-২০১৯), তাঁকে বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। প্রিন্স আকিহিতো সস্ত্রীক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছিলেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সেবা ও ত্রাণ কাজ চালিয়েছেন তাঁর কর্মীদের নিয়ে ফুকিউরা তাদামাসা। গোপনে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে। তাঁর গ্রন্থে অনেক অজানা তথ্য বর্ণিত আছে।
সেদিনই টেলিফোনে কথা বলার পর তাঁর আহবানে সাক্ষাৎ করতে ছুটে যাই। টোকিওর অন্যতম ব্যস্ত শহর তোরানোমোন এর বহুতলবিশিষ্ট একটি ভবনে অবস্থিত চমৎকার অফিসে এক ঘণ্টার অধিক সময় তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলি। সেদিন অনেক কথাই বলেছিলেন অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে ফুকিউরা স্যার। কারণ বাংলাদেশ, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। বলছিলেন, রহমান এবং (শেখ মুজিবুর রহমান) আমার মধ্যে আশ্চর্যজনকভাবে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর! প্রথমত আমাদের দুজনের জন্ম একই মাস এবং একই তারিখে, সেটা মার্চ মাসের ১৭ তারিখ।
একবার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মিকি তাকেওর সঙ্গে আলাপ করছিলাম যে, কেন রহমান এবং আমার জন্ম মাস ও তারিখ একই হবে! কী বিস্ময়কর ব্যাপার! যেদিন তাঁকে বিপথগামী সেনারা সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল, সেদিন জাপানের রাজনৈতিক জগতে গভীর ছায়া নেমে এসেছিল। তাঁর ভক্ত, বন্ধু, শুভাকাক্সক্ষী এবং নবজন্ম বাংলাদেশের সমর্থক সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম! এমন একজন সিংহহৃদয় বাঙালি বীরকে কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে হত্যা করবে আমাদের ধারণার মধ্যেও ছিল না! ১৯৭৩ সালে জাপান ভ্রমণের সময় তিনি আমাকে মৌলবাদীদের উত্থান নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছিলেন।
আমরাও চিন্তিত ছিলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। তাই বলে এত দ্রুত এমন ঘটনা ঘটবে এটা আদৌ ভাবিনি! বরং বাংলাদেশকে কিভাবে উন্নত করা যায়, দুই দেশের মধ্যে কিভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা যায় রহমান যেমন প্রচেষ্টা করছিলেন, আমরাও সর্বশক্তি দিয়ে তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করায় সচেষ্ট ছিলাম। আমাদের প্রচেষ্টার কথা তখনকার পত্রপত্রিকা এবং জাপান-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের বুলেটিনে বর্ণিত আছে। তাঁর জাপান সফর ভীষণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল জাপানে! এককথায় নজিরবিহীন!
সেদিন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর দল কেন আপনাদের খোঁজ করল না, কিছু জানেন কিনা! তিনি উত্তরে কিছু বলেননি, শুধু মৃদু হেসেছিলেন। পরে বললেন, ১৯৭৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এই সুদীর্ঘ সময়ে আর কোনো বাঙালির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ঘটেনি। আজ প্রথম তুমি এলে আমার খোঁজ পেয়ে, আমার যে কী আনন্দ হচ্ছে ব্যাখ্যা করতে পারব না! তুমি বাঙালি, তুমি রহমানের দেশের লোকÑ তোমাকে দেখে কত কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে! আমরা রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যাঁরা ছিলাম, আমরা মর্মাহত হয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ করি। শোকসভার আয়োজন করি। জাপানের গণমাধ্যমেও আমি প্রতিবাদ জানাই। এমন একজন সিংহহৃদয় মানুষ এশিয়ায় আর জন্মগ্রহণ করবেন বলে আমার মনে হয় না।
সেদিন তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। বারবার আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছিলেন, জানি না কিছু খুঁজছিলেন কিনা আমার মুখের মধ্যে! মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে অবস্থানকালে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ হয়ত স্মরণ করছিলেন। ফেরার সময় অত্যন্ত আগ্রহভরে তিনি আমাকে তাঁর রচিত চি তো দোরো তো বানগুরাদেশু দোকুরিৎসু নো হিগেকিগ্রন্থটি উপহার দিলেন, যেটা আমি অনেক বছর আগে জাপান শীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক, বঙ্গবন্ধুর আরেক বড়মাপের ভক্ত অধ্যাপক কাজুও আজুমার বাড়িতে দেখেছিলাম। আমি গ্রন্থটি দুহাতে গ্রহণ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম। এবং আমি আমার সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ জানা অজানা জাপান প্রবন্ধ সিরিজের দ্বিতীয় খ-টি বিনিময় করলাম। আমি যখন দরজায় গিয়ে জাপানি কায়দায় মাথা নত করে ওজেকি করলাম, তখনও দেখতে পেলাম তিনি অবাক দৃষ্টিতে দেখছেন আমাকে! এর কয়েকদিন পর তাঁর এ আমার কথা লিখেছেন দেখে অভিভূত হয়েছিলাম!
লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক, জাপান প্রবাসী