ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলার খোসা খেলে দ্রুত ওজন কমে!

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ২৩ জুলাই ২০১৭

কলার খোসা খেলে দ্রুত ওজন কমে!

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভাববেন না মজা করছি। বাস্তবিকই ওজন কমাতে কলার খোসার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে! দুঃখের বিষয় একটাই যে এই গুপ্তধনের সন্ধান যদি কয়েক বছর আগেও পাওয়া যেত, তাহলে ওজন কমাতে হয়তো এত দৌড়-ঝাঁপ করতে হতো না। আপনাদের মধ্যে যারা খাবারে কোপ বসিয়ে ওজন কমানোর পেছনে লেগে পড়েছেন তারা দয়া করে একবার এই লেখাটা পড়ে ফেলুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে কলার খোসায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন দাপাদাপি শুরু করে যে চর্বি গলতে বাধ্য হয়। ফলে ওজন কমে তরতরিয়ে। কলার খোসা আর ওজন! ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখতে পাবেন কলা হলো প্রথম ফল, যা মানুষ খাওয়া শুরু করেছিল। ভাগ্যিস করেছিল, না হলে কত কিছু থেকে যে আমরা বঞ্চিত থেকে যেতাম, তা বলার নয়! গবেষণা বলছে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি ৬, বি ১২, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের প্রায় প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় থাকা ফাইবার একাধিক পেটের রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু মজার বিষয় কী জানেন! কলা যতটা না পুষ্টিকর, তার থেকে অনেক বেশি পুষ্টকর কলার খোসা। শুনতে একটু আজব লাগছে তাই তো। কিন্তু এ কথার মধ্যে কোনো ভুল নেই যে কলার থেকে সব দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে তার খোসা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আছে লুটেইন নামে একটি উপাদান। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এ ছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এই উপাদানগুলি ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল কমায় এবং সবথেক গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। হলুদ না সবুজ? সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে হলুদ খোসা রয়েছে এমন কলা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তা ছাড়া হলুদ খোসায় এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার বিরোধী। সেই সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে সবুজ খোসা যদি খেতেই হয়, তাহলে তা কম করে ১০ মিনিট গরম জলে চুবিয়ে রাখার পর খাবেন। তাতে উপকার মিলবে বেশি। প্রসঙ্গত, আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে হলুদ খোসা খেলে মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে মানসিক অবসাদ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে মনটাও বেশ খুশি খুশি হয়ে যায়। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন যে কলার খোসা শুধু ওজন কমায় না, সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কীভাবে খেতে হবে কলার খোসা? কাঁচা অবস্থায় তো খেতেই পারেন। একান্ত যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কলার খোসাটা কিছু সময় গরম জলে ভিজিয়ে চায়ের মতো করে খেতে পারেন, অথবা মিক্সিতে কলার খোসা এবং আইসক্রিম নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে সরবত হিসেবেও পান করতে পারেন। সবশেষে... কী বুঝলেন বন্ধুরা। এবার থেকে কলা খাওয়ার পর আর খোসাটা ছুড়ে ফেলে দেবেন না ডাস্টবিনে। বরং টপ করে খেয়ে ফেলবেন। এমনটা করলে দেখবেন শরীর বাবাজিকে নিয়ে আর কখনো কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না। সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া
×