
ছবি:সংগৃহীত
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ছয়টি ইসলামী দল একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই জোটের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা জামায়াতে ইসলামী। তাদের সঙ্গে থাকছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং খেলাফত মজলিস।
নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোট আত্মপ্রকাশ করবে। তারা মনে করছেন, ইসলামপন্থীদের ভোট একত্রিত করতেই এই জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি আসনে এই জোট থেকে একজন করে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
জোটের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নিয়ে এরই মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। এক নেতার ভাষায়, “আমরা বৃহত্তর ইসলামী ঐক্য চাই। যারা ইসলামের প্রতি ভালোবাসা রাখে, এমন ছোট দলগুলোকেও এই ঐক্যে যুক্ত করার চেষ্টা থাকবে। জামায়াতে ইসলামী যেহেতু ইসলামের পক্ষে কাজ করে, তাদের সাথে ঐক্যে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। তবে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে একে অন্যকে সমর্থন দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। একজন নেতা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “কোনো আসনে যদি আমাদের সমর্থন বেশি থাকে, তবুও জোটের স্বার্থে প্রার্থী ছাড় দিতে হতে পারে। তখন অন্য দল যদি হাতপাখা প্রতীক ব্যবহার করে সুবিধা পায়, তবে সেটা নিয়ে আপত্তি থাকবে না।”
জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, তারা ইসলামপন্থী আরও কিছু দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর চূড়ান্ত জোটের চিত্র স্পষ্ট হবে। তাদের ভাষায়, “জনগণের কল্যাণ, গণতন্ত্রের বিকাশ ও একটি সুন্দর নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের মধ্যে সমঝোতা ভিত্তিক একটি ঐক্য গড়ে তোলা হচ্ছে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সম্ভাব্য জোটের সদস্য দলগুলোর মধ্যে কেবল নেজামে ইসলামের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেই।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে চলা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐক্য তৈরি হয়েছে। ৫ আগস্টের গণআন্দোলনের পর থেকেই বিভিন্ন দলের নেতারা একে অপরের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, যা এই ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করেছে।
ছামিয়া