
ছবি: সংগৃহীত
গত ২৩ মে রাতে ছড়িয়ে পড়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ গুঞ্জন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি।
সেদিন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে নাহিদ ইসলাম রাতে বিবিসি বাংলাকে বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আয়োজিত এক টকশো অনুষ্ঠানে কথা বলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল। টকশো অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকার ‘প্রধান উপদেষ্টা এনসিপিকে প্রথম কেন জানালেন যে তিনি পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন’ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যখন আন্দোলন হয় এবং তারপরে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হন, এই পুরো প্রক্রিয়ায় নাহিদ ভাই এবং আসিফসহ মাহফুজ ভাই, আরও যারা ছিলেন তারা যুক্ত ছিলেন যোগাযোগের জায়গায়, আরও অনেকেই ছিলেন, ফ্যাসিলিটেট করেছেন।’
এনসিপি নেতা আরিফ সোহেল আরও বলেন, ‘একটা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সর্বপ্রথম যখন আন্দোলনকারী নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছি, সেখানে কিন্তু নাহিদ ভাইসহ অন্যরা ছিলেন। পরবর্তীতে যখন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস দেশে আসেন, তখন এই আন্দোলনের নেতৃত্ব কিন্তু তাকে রিসিভ করেছেন।’
‘সে জায়গা থেকে আপনারা দুইভাবে এটাকে বিবেচনা করতে পারেন। একটা হচ্ছে এনসিপি একটি দল হিসেবে তাকে প্রধান উপদেষ্টা এডভান্টেজ দিচ্ছেন অথবা আপনারা এটা ধরে নিতে পারেন যে, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস যেহেতু লেজিটিমেসি ড্র করেছেন, এই গণঅভ্যুত্থান-আন্দোলনের নেতৃত্ব থেকে যেটা আসলে কেউ প্রটেস্ট করেছেন বলে আমার এখন পর্যন্ত মনে হয় না।’
এনসিপি নেতা আরিফ সোহেল বলেন, ‘সেদিকটা যদি আপনি বিবেচনা করেন, তাহলে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নাহিদ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমি মনে করি না যে কোনো গর্হিত কাজ হয়েছে।’
সূত্র: https://www.prothomalo.com/politics/h4zh6mms4e
রাকিব