ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সোশাল মিডিয়া ধর্মীয় রাজনীতির দুর্বলতা উন্মোচন করছে: ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দিন শিশির

প্রকাশিত: ০১:০০, ১৭ মে ২০২৫; আপডেট: ০১:০০, ১৭ মে ২০২৫

সোশাল মিডিয়া ধর্মীয় রাজনীতির দুর্বলতা উন্মোচন করছে: ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দিন শিশির

ছবি: সংগৃহীত

ধর্মীয় রাজনীতি একটি জাতি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কার্যকর কোনো পথ নয়—এমন মত দিয়েছেন ফ্যাক্ট চেকার ও বিশ্লেষক কদরুদ্দিন শিশির। তার মতে, এই মতের পেছনে বহু কারণ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ার প্রভাব।

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিশির লিখেছেন, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত জীবন অনেক বেশি এক্সপোজড হয়ে পড়েছে। জীবিত আইকনদের ওপর যেসব ধর্মপ্রাণ মানুষ আস্থা রাখতেন, তাদের জীবনের নানা নেতিবাচক দিক সামনে চলে আসায় সেই আস্থা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের তৃণমূল কর্মীদের আচরণও এখন জনগণের চোখে ধরা পড়ছে, যা অনেক সময় ধর্মের মূল আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলোর সাধারণ কর্মীদের সোশাল মিডিয়ায় আচরণ অনেক সময় তথাকথিত "সিপি গ্যাং" নামে পরিচিত গ্রুপগুলোর চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ও অশালীন।

শিশির মনে করেন, যারা ধর্মীয় রাজনীতিতে জড়িত না হলেও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের প্রতি ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন, তারাও এসব দেখে হতবাক হচ্ছেন এবং ধর্মীয় রাজনীতি থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছেন। অপরদিকে, যারা আগে থেকেই নেতিবাচক ধারণা রাখতেন, তারা এসব আচরণকে নিজেদের বিশ্বাসের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে নিচ্ছেন।

তিনি লেখেন, "সোশাল মিডিয়া এসে ধর্মীয় রাজনীতির সম্ভাবনাকে আরও সংকুচিত করেছে—মূলত এই রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট উপর তলা এবং নিচ তলার ব্যক্তিদের নৈতিকতা ও ধার্মিকতার সাথে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের দূরত্বের বিষয়টি এক্সপোজ করার মাধ্যমে।"

আসিফ

আরো পড়ুন  

×