
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের 'নির্বাচন সমঝোতা সম্ভব কি?' শিরোনামের টকশোতে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সহকারী মুখপাত্র তাহসিন রিয়াজ। বিএনপির সাথে সরকার এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে অনাস্থা বা বিশ্বাসের অভাব তৈরি হয়েছে এখান থেকে বেরিয়ে আসা এবং সবাই মিলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সেখানে তিনি বিএনপি মহাসচিব উত্থাপিত বিভিন্ন আপত্তির জবাব দেন। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবকে পরমত সহিষ্ণুতা দেখাতে হবে। তিনি যখন কথা বলেন তার ভাষায় আওয়ামী লীগের ভাষার যে মিল সেটি আমরা খুঁজে পাই, তিনি যেমন করে আমাদের মাঝে আওয়ামী লীগের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন। তার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, তিনি যখন চাঁদাবাজি দেখেন, মাঠ-ঘাট দখল হতে দেখেন, দলের অভ্যন্তরীণ কলহের কারণে মানুষ হত্যা হতে দেখেন, একটা দলকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হাটে, মাঠে-ঘাটে সমস্ত অপকর্ম দেখেন তখন তিনি আওয়ামী লীগের চেহারা খুঁজে পান না? আওয়ামী লীগের চেহারা তো এটিও ছিল, তারা হাট, মাঠ দখল করে, সবকিছু দখল করে রাজনীতি করতো। আওয়ামী লীগ প্রশাসনকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছে, সিস্টেমকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছে। যখন তিনি এসব কার্যক্রম দেখেন, কেন তিনি আওয়ামী লীগকে খুঁজে পান না এটা ভেবে অবাক হই। তিনি বলেছেন ছাত্রদলের মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি দেখাক, ছাত্রদলের কোন মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে। ছাত্রদল বাংলাদেশের স্পেয়ারে রেগুলার প্রোগ্রাম করছে, আমরা বাধা দেওয়ার কে। ছাত্রদল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি শক্তি। যেকোনো কিছুকে যদি আমাদের উপর চাপানো হয় তাহলে তো বিভাজন তৈরি করবে। যে সমাধানের কথা বলা হচ্ছে, এই সমাধান তখনই হবে যখন উনারা আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলবেন না।
তিনি বলেছেন সরকারে থেকে রাজনৈতিক দল গঠন করা যায় না। কোথায় তিনি জানলেন যে, এই তিন উপদেষ্টা সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলে থাকবেন। কোন ভ্যালিড সোর্স থেকে তিনি একথা শুনেছেন! যদি উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণ করে এটা জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকেই দাবি থাকবে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করে এখানে যোগ দিতে হবে।
জেএফ