
ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির ঈদের দিন (শনিবার, ৭ জুন) সকাল থেকেই ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভিড় জমেছে আহত মৌসুমি কসাইদের। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৬৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যাদের অন্তত ৫০ জনই গরু জবাই বা মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
কারও হাত বা পা কেটেছে, কারও রগ কেটেছে, কেউ আবার গরুর আঘাতে হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের ধারণা, সন্ধ্যার মধ্যে আহত মৌসুমি কসাইয়ের সংখ্যা ২০০-২৫০ জনে পৌঁছাতে পারে।
আহতদের কেউ কেউ রামদা বা দা হাতে স্লিপ করে কেটে ফেলেছেন নিজেকে। কেউ গরুর গুতা খেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ধানমণ্ডির সবুজ হোসেন বলেন, “গরু কাটতে গিয়ে পায়ে দা পড়ে গেছে। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছি, তাই খারাপ লাগছে না।”
জরুরি বিভাগে দেখা গেছে, চিকিৎসক ও নার্সরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে ব্যান্ডেজ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন, আবার কারও প্রয়োজন হয়েছে অস্ত্রোপচারের।
প্রতিবছর কোরবানির দিনে ঢামেক হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা যায় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আসিফ