
শহিদুল ইসলাম বাবুল
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ৫২ বলেন, ৬২ বলেন, ৬৯ বলেন, ৬৬ বলেন, ৯০ বলেন, যাই বলেন আমাদের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যত গৌরবজ্জল অধ্যায় আছে যা অর্জন আছে সবকিছুর সাথেই কিন্তু ছাত্রদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংযোগ ছিল। কখনোই ছাত্ররা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে চায়নি। ক্ষমতা ভাগাভাগি বা দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা এগুলা হয়নি। ছাত্রদের কাজ বন্যেরা বোনের সুন্দর শিশুরা মাতৃ করে।
বেসরকারি টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত এক টক শো তে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ হাসিনার যদি টিকে যেত তাহলে ছাত্রদের পরিণতি ভালো হতো না। আমাদের পরিণতিও ভালো হতো না, এটা সত্য। তারা আমাদের মাথার মুকুট হয়ে থাকতে পারতো। কিন্তু এই নির্বাচনের পরে যেসব হটকারিতা আমি হটকারিতা বলবো কিনা জানিনা অবশ্যই তাদের অবদানের প্রতি রেস্পেক্ট রেখেই বলতে চাই, ছাত্রদের মধ্যে ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতির যে একটা টেন্ডেন্সি তৈরি হয়েছে, এটা সবল হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ, আপনি যখন ক্ষমতার অংশীদার হবেন বা আপনার বিলাসবসনের দিকে যখন আপনার মানসিকতা চলে যাবে, পড়াশোনা বা বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস বাদ দিয়ে তখন কিন্তু এর মধ্যে নানান ধরনের সুবিধাবাদ নানান ধরনের সংঘাত সহিংসতা এই প্রেক্ষাপট তৈরি হবে। ছাত্ররা কিন্তু একটা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে থাকতে পারতো। তারা যেটা বলছে সংস্কারের কথা বা জাতি রাষ্ট্রের আগামী দিনের পথ চলায় যাতে কেউ আর ফ্যাসিস্ট না হতে পারে অন্যায় অনিয়ম এগুলা তারা চায় যেমন আমরাও চাই। তারা হয়তো রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতার কথা বলছে, তারাই একটা জোট হয়ে থাকতো বা অরাজনৈতিক হয়ে থাকতো। যাই থাকতো যে প্রেসার গ্রুপ আগামী দিনে আমরা এটা এটা চাই কিন্তু সেটা তারা না করে একদিকে তারা ক্ষমতার অংশীদার হচ্ছেন। আবার তারা রাজনীতি করবেন কি করবেন না নাগরিক কমিটি করেছেন একটা ধূম্রজাল। কেউ কেউ বলছেন তারা পরাজিত কমিশনারদের ডেকে আনছেন, আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলছেন। এখানে কোন সংস্কার লাগবে না, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে বিগত দিনে। আমরা অন ইলেভেন দেখেছি যখন যেটা ওই যে বলে না যে কি ওই নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্পর্কে মাঘের যে দশা হয়, আমাদের দেশে ক্ষমতার স্বাদ যারা পেয়েছে তাদের দশা একই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি ছাত্ররা যদি রাজনৈতিক দল করে ওয়েলকাম। কারণ, একটা মেইনস্ট্রিমের পলিটিক্স পার্টি আমাদের দেশে সংকট আছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের পতনের উপর আমরা মনে করছি এবং তরুণদের আসা দরকারও আছে রাজনীতিতে। অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু সেটা একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো হতে হবে। তারা তো তাদের প্রতিনিধিত্ব সরকারেও আছে তারা তো সরকারও চালাচ্ছেন। তাহলে সেখান থেকে তাদের পদত্যাগ করার প্রয়োজন আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কেউ কেউ সমালোচনা করে বলছেন আপনি ২১ বছর যে করছেন, আমি জানি কোন কোন সমন্বয়কের বয়স ২১ বা ২৫ হয়নি তারা এখন এমপি হবে স্বপ্ন দেখছে কারো কারো ৮২ টা গেট তৈরি করছে। আপনার এলাকার মানুষ আপনাকে এতই ভালোবাসলো। আর তাহলে রাজনৈতিক দলকে আপনি দায় দিচ্ছেন কেন? আপনি তিনটা ফ্লোর নিয়ে এখানে বসেছেন, কোত্থেকে টাকা আসছে, নানান ধরনের অন্যায় অনিয়মের কথা আমরা শুনছি, নানান ধরনের মানে তদবির প্রমোশন পোস্টিং এগুলো আমাদের কানে আসছে। এগুলো নিয়ে আপনাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘাত সহিংসতার কথা আমরা শুনছি। এগুলো তো আমাদের শুনতে হতো না এবং এই বিষয়গুলো আরো ডেটরেট করবে এবং এটা আল্টিমেটলি আমাদের যে অভ্যুত্থানের স্পিরিট সেই স্পিরিটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং ফ্যাসিবাদের পথকে প্রশস্ত করবে।
এম হাসান