
নিলুফার চৌধুরী মনি
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেছেন, বাংলাদেশে বড় দল কারা কারা? একদল চলে গেছে। আরেকদল আছে যেটা বিএনপি। সাধারণ মানুষ কী মনে করে প্রত্যেকটা চায়ের টেবিল বলেন আর ক্ষেতের মজুর বা শ্রমিক বলেন একই কথা। মানুষ এখন সবই বুঝে। দেশের মানুষ ভীষণ সচেতন রাজনীতিতে ভীষণভাবে। যে কারণে এত লাখো মানুষ বের হয়ে যায়। যেটা আমেরিকা, লন্ডনে কিন্তু এত মানুষ বের হয়ে একটা স্বাধীনতা আনত না।
বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া েএক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন নিলুফার চৌধুরী মনি।
তিনি বলেন, ‘সেই জায়গায় আপনার যেমন ধরেন জামায়াত আমির আরেকটা কথা বলেছেন। দেশে পরীক্ষিত শক্তি আছে, এক আমরা আরেকটা সেনাবাহিনী। এটা তো একটা দুঃখজনক অধ্যায়। একসাথে কাজ করলাম আমি আপনার সঙ্গে। বছরের পর বছর আপনার সাথে যুগপৎ আন্দোলন করলাম। আমাকে আপনাকে ধরে আমাকে এত ভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হল। আওয়ামী লীগ কিছু চেতনা বিক্রি করে খেয়ে এমন কিছু নাই যেটা বিএনপির উপর চালায় নাই।’
নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘সেখানে আপনি যদি এখন বাদ বিচারে ব্রাহ্মণ হয়ে যান আর আমাকে নমঃশূদ্র বলেন তাহলে তো এটা দেশের জন্য কোনোকিছুতেই মঙ্গল আনতে পারে না। আর সেনাবাহিনী সে তো আমাদের মানুষগুলো জেনে বুঝে দেশরক্ষার জন্য নিজেকে ব্যবহার করে। সরকারিভাবে বা অফিসিয়ালি তাদের কোনো দল নেই। সব দলের লোক সেনাবাহিনী। তাই এখানে সেনাবাহিনী মুখ্য না। এখানে কথা কিন্তু অন্তর্নিহিত অনেক রকম কথা এখানে আছে। তাই এই জিনিসগুলো জাতিকে কি মেসেজ দিচ্ছে? যেটাকে কেন্দ্র করে আমাদের যুগ্মমহাসচিব সব বলে ফেললেন যে, একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আসলো। তারপর আরো প্রশ্ন যেটা আসলো যে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। কিংবা যুদ্ধ যদি না করেন আপনার ভূমিকা কী ছিল? তাই এই কথাগুলো তো কথার পিঠে কথা আসত না যদি কথার অবতারণা না হত। তা আমরা যদি নিজেরা নিজেরাই এই ধরনের কাজগুলো করি, মানুষ তো বুঝে। আমি গর্তে মুখ ঢুকিয়ে কাউকে দেখছি না দেখে যদি মনে করি কেউ আমাকে দেখছে না, এটা তো ঠিক হবে না। আমাদের বরং অনেকের চেয়ে আরও বেশি মানুষ দেখছে।’
তিনি বলেন, ‘এই যে যেটা মাসুদ বললেন, আজহারী সাহেব যে কথাটা বলছেন। তিনি তো ধর্মকে প্রচার করেন ধর্মব্যবসায়ী না। জালালউদ্দিন রুমি মাওলানা উনি কী বলেছিলেন যে মদ ব্যবসায়ী কখনও মাতাল হয় না। আর ধর্ম ব্যবসায়ী কখনও ধার্মিক হয় না। আপনি ধর্ম ব্যবসা চালাতে গিয়ে আপনি রাজনৈতিক ব্যবসায়িক কথা বলে ফেললেন। এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশের মানুষ একরাতে ইউটার্ন নিয়েছে। এত জনপ্রিয় একজন মানুষ সে যদি এখান থেকে শিক্ষা নেয় তাহলে খুব ভালো।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ থাকতে তো সবাই এমন ভাব দেখাতো যে তখন সবাই আওয়ামী লীগ করে। আমরা যখন কথা বলতাম আপনাদের টেবিল আপনারও তো এমন ভাব দেখাতেন যে আপনি আরও বড় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ যাওয়ার সময় না বোঝা গেল যে আপনি পান না কি? এটা ভেতরে ভেতরে ভয় নিয়ে ভয় পোষণ করে যদি কোন ভালোবাসেন এটা কিন্তু ভালোবাসা বলেনা। ঘৃণার আরেক নাম ওই ভালোবাসা। আমাকে বুঝতে হবে যে আমার কোন পর্যন্ত যাওয়া উচিত আর কোন পর্যন্ত যাওয়া উচিত না। উনাকে আওয়ামী লীগ টর্চার করেছে আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু তিনি এটা কি বললেন? দুঃসময়ে আমরা আপনার সঙ্গে ছিলাম এটা কি দোষ। শেখ হাসিনার মতো অসভ্য মহিলা খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে জামায়াতকে নিয়ে যেসব কথা বলেছেন সেখোনে এরকম কথা বলা কেন। আপনি যদি বিপদে পড়েন সেটা ভিন্ন কথা কিন্তু এমন সময়ে ওসব কথা বদনাম করা ঠিক না।’
সূত্র: একুশে টিভি। https://www.youtube.com/watch?v=TR_C6Fq70G8
এম হাসান