ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধ হোক নৃশংসতা

সাফিনাতুন জাহান সাবরিন

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

বন্ধ হোক নৃশংসতা

শিশু ধর্ষণ, গুম, খুন কিংবা অপহরণের মতো ঘটনা সমাজে নতুন নয়

শিশু ধর্ষণ, গুম, খুন কিংবা অপহরণের মতো ঘটনা সমাজে নতুন নয়। তবে দিন দিন এসব ঘটনা যেন থামছেই না। সেই সঙ্গে বাড়ছে  অপরাধের নয়া কৌশলের ব্যবহার। একটি শিশু শুধু ধর্ষণের শিকার কিংবা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না। শিশু নৃশংসভাবে হত্যারও শিকার হচ্ছে।  সম্প্রতি চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা  জাহেলিয়ার যুগকেও হার মানিয়েছে।

আয়াত নামের একটি শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবিতে ৬ টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিভিন্ন  জায়গায় তা ফেলে দেয়। যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি  করেছে। শুধু  আয়াত নয়, আয়াতের মতো আরও অনেক মেয়ে শিশু  সমাজে অপহরণ ও নৃশংস হত্যার শিকার হচ্ছে- প্রতিনিয়ত। গুটিকয়েক ঘটনা পত্রিকার শিরোনাম হলেও অনেক ঘটনা কিংবা অপরাধ থেকে যাচ্ছে আড়ালে।

সমাজের জন্য ন্যক্কারজনক এসব ঘটনা ব্যাপক আতংকের জন্ম দিয়েছে। ঘরের বাইরে এখন শিশুরা দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে এখন অভিভাবকদের মনে বিরাট সংশয়। প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। মেয়ে শিশুর নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে অভিভাবকদের। একটি শিশুর নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে অভিভাবকদের যেমন সতর্ক থাকতে হবে তেমনি রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে। সমাজে অপরাধ ঠেকাতে প্রশাসনের তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।

মেয়ে শিশুর নিরাপত্তার জন্য সামাজিক বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মশালা জরুরি। অভিভাবকদের উচিত মেয়ে শিশুকে পরিবার ব্যতীত অন্য কারও সঙ্গে একা ছাড়া যাবে না। শিশুরা পরিবার ব্যতীত বাইরে কাদের সঙ্গে মিশছে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেইসঙ্গে পরিচিত মানুষজনের আপনার শিশুর ওপর কেমন মনোভাব তাও লক্ষ্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একা শিশুকে কোথাও রেখে যাওয়া যাবে না।

শিশুর নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত না হলে আগামীতে এর পরিমাণ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মেয়ে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে শিশুকেও সাবধান করতে হবে পরিবারের সদস্য ব্যতীত যেন কারও সঙ্গে কোথাও না যায়। তবেই মেয়ে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত
করা যাবে।

চট্টগ্রাম থেকে

×