ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী গৃহিণী

সঞ্জয় রায় চৌধুরী

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী গৃহিণী

মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী গৃহিণী

একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে বাড়িতে পালিত হতো হাঁস মুরগি। পরিবারের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে যা ব্যাপক ভূমিকা রাখতো। কিন্তু নানা কারণে এই প্রবণতা পরবর্তীতে কমে যায়। মানুষ ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামারের ওপর। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে সময়ের উপযোগিতায় শহর এলাকাসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন নতুন করে আগের মতো ছোট ছোট মুরগির খামার তৈরি করছেন বিভিন্ন পরিবার। যা তাদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। 
মাগুরা বিভিন্ন গ্রামে মহিলারা ছোট ছোট লেয়ার মুরগির খামার করে নিজেরা সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা করছে। সদর উপজেলার রূপাটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে কয়েকটি পরিবারের গৃহিণীরা তাদের গৃহস্থালীর কাজ ও ছেলে মেয়েদের দেখভালের পাশাপাশি এ লেয়ার মুরগির খামার করে মাসে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করছেন।

যা নিজের খরচের পাশাপাশি পরিবারের প্রয়োজনে ব্যয় হচ্ছে। গৃহিণী শামীমা খাতুন জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা এডিআই তাদের লেয়ার মুরগি পালনের প্রশিক্ষণ দেয়। নিজেদের জমানো কিছু টাকা ও তাদের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতায় ১০০ মুরগির বাচ্চা দিয়ে প্রথমে শুরু করি। সাড়ে ৫ মাস পর থেকে ডিম দেওয়া শুরু করেছে। প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮৫টি পর্যন্ত ডিম দেয়।

এ থেকে খরচ বাদে মাসে আমার ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ থাকে। এভাবে প্রায় দেড় বছর ডিম দেবে। আমার দেখা দেখি আমার জা (দেবরের স্ত্রী) ও ১০০ মুরগির খামার করেছে। এখন সেও ভালো টাকা উপার্জন করছে। এখন এলাকার অনেক মহিলাই লেয়ার মুরগির খামার করতে আগ্রহী হয়েছেন। আমি ভাবছি আগামীতে খামারটি বড় করব।

একটি বেসরকারি সংস্থা এর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার তুহিন মিয়া জানান, গ্রামের মহিলারা যারা শুধু গৃহকর্মের কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের নিজেদের ইনকাম ও পরিবারের জন্য বাড়তি আয়ের উৎস তৈরি করতে ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করে থাকি। সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে আমরা এ ধরনের কাজ করছি। আশা করছি তাদের দেখাদেখি অনেকেই এ কাজে এগিয়ে আসবে।

×