ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

‘বরেন্দ্রপেক্স’ শেষ হবে আজ

প্রজন্মের সামনে স্মৃতিময় ইতিহাস, দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট

মামুন-অর-রশিদ

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৫ মে ২০২৪

প্রজন্মের সামনে স্মৃতিময় ইতিহাস, দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট

রাজশাহীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয়

রাজশাহী নগরীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি নামের একটি সংগঠন মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছেবরেন্দ্রপেক্স-২০২৪ রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . গোলাম সাব্বির সাত্তার। দুইদিনের এই প্রদর্শনী শেষ হবে আজ সোমবার।

প্রদর্শনীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট যেমন প্রদর্শন করা হচ্ছে, তেমনি তা কেনারও সুযোগ রয়েছে। আর প্রদর্শনীর স্থান থেকেই রয়েছে চিঠি পোস্ট করার সুযোগ। জন্য ডাকবিভাগ একটি অস্থায়ী পোস্ট অফিস স্থাপন করেছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডাকবিভাগবরেন্দ্রপেক্স-২০২৪নামে দুইদিনের জন্য বিশেষ একটি খামও এনেছে। ছাড়া ডাকবিভাগের পক্ষ থেকে দুটি সিলমোহর দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান উপলক্ষে।

এই প্রদর্শনীতে সারাদেশের বাছাই করা ২৫ জন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক তাদের সংগ্রহ প্রদর্শন করছেন। পাশাপাশি তারা ডাকটিকিট বিক্রিও করছেন। প্রদর্শনীতে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান সময়ের সব ডাকটিকিটই রয়েছে। বিশে^ নানা দেশের দুষ্প্রাপ্য সব ডাকটিকিটও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। দেওয়ালে দেওয়ালে প্রদর্শন করা হচ্ছে অনেক পুরনো চিঠির খামও। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে এসব দেখছেন।

ঢাকার উত্তরা থেকে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক কাজী মাহবুবুর রহমান। স্বাধীনতার আগেও বাংলাদেশকে নিয়ে যে আটটি ডাকটিকিট ছাপানো হয়েছিল তার সংগ্রহ রয়েছে মাহবুবুর রহমানের কাছে। ওই ডাকটিকিটগুলো ছাপানো হয়েছিল রুপির হিসাবে। ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, রুপি, রুপি, রুপি, রুপি ১০ রুপির ডাকটিকিটগুলোর কোনটিতে  কোন বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছেÑ তা তিনি বর্ণনা করে জানাচ্ছেন।

কাজী মাহবুবুর রহমানের পাশেই ডাকটিকিট নিয়ে বসেছেন সাতক্ষীরার আহসান-আল-আমিন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট বের করে দেখালেন। এটি ২০ পয়সার। ডাকটিকিটের ওপরে উড়ছে ৬টি পায়রা। ডাকবিভাগের অস্থায়ী পোস্ট অফিসে বর্তমান সময়ে প্রচলিত ডাকটিকিটগুলো প্রদর্শন করছে। সেখানে ডাকটিকিট বিক্রিও করা হচ্ছে।

অস্থায়ী পোস্ট অফিসেই একটি ডাকবক্সও রাখা হয়েছে। বরেন্দ্রপেক্স খামে টাকার ডাকটিকিট দিয়ে সেখানে চিঠি পোস্ট করছিলেন অনেকে। ছাড়া টাকার ডাকটিকিটে রেজিস্ট্রি করে এবং দ্রুত চিঠি পৌঁছাতে ১০ টাকার ডাকটিকিট দিয়ে জিইপি চিঠি পাঠাচ্ছিলেন অনেকে। রবিবার প্রথম একঘণ্টায় ৩০টি জিইপি ৮টি রেজিস্ট্রি করা চিঠি জমা হয় পোস্ট অফিসে।

বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন্ত কুমার বললেন, ‘আমরা যারা এখন প্রবীণ, তাদের শৈশবের স্মৃতি এই ডাকটিকিট। মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের যুগে এগুলো এখন স্মৃতি। সেই স্মৃতিময় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে আনতেই আমাদের আয়োজন।’ 

×