ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রচন্ড গরমে ত্বকের র‍্যাশ থেকে বাচার উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ৫ মে ২০২৪

প্রচন্ড গরমে ত্বকের র‍্যাশ থেকে বাচার উপায় জেনে নিন

প্রচন্ড তাপে ত্বকের বিড়ম্বনা  

গরম এলেই যেন ত্বকের অযত্নের দিন শুরু হয়ে যায়। কোনো ভাবেই রক্ষা করা যায় না ত্বককে। অনেকেরই রোদে বের হলেই ত্বকে হিট র‌্যাশ দেখা দেয়। 

চলতি বছর তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই বেড়েছে অস্বস্তি। এই গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে অন্যতম হলো র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি।

রোদে বের হলেই দেখা দেয় ত্বকে হিট র‌্যাশ। এরপর শুরু হয় সেখানে চুলকানি। আর ঘাম হলে তো জ্বালাপোড়া অনুভূতি আছেই। শুধু বড়দের নয়, শিশুদেরও গরমে প্রচুর র‌্যাশ বের হতে দেখা যায়।

তবে জানেন কি! বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে হিট র‌্যাশের সমস্যা এড়াতে আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এ সময়ের শুষ্ক পরিবেশে বাড়তে শুরু করে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। যা শরীরে ঘামের সংস্পর্শে এসে ছত্রাক তৈরি করে।

এই ছত্রাক থেকেই ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়া শুরু হয়। যা গ্রীষ্মে অত্যন্ত বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গরমে ত্বকে সবচেয়ে বেশি যে ছত্রাকটির সংক্রমণ দেখা যায় সেটি হলো টিনিয়া।

এই ছত্রাক শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা ঘাম ও ধূলাবালিতে দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ছত্রাকের এই উপস্থিতি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ও চুলকানি তৈরি করে।

আপনি কি জানেন সময় কী কী এড়িয়ে চলবেন? 

আপনাকে এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে শরীর শুকনো রাখা। গোসলের পর কিংবা কোনো কারণে ঘামে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত তা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এর সঙ্গেই মাথায় রাখতে হবে নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্নের বিষয়টি।

জীবাণু সংক্রমণ এড়াতে কাপড় ধোয়ার পর ডেটল জলে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। আবার অনেক সময় পোশাকের সঙ্গে চামড়ার অধিক ঘর্ষণের ফলে ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরার পরিবর্তে বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাককে।

এছাড়া একই প্রসাধনী, চিরুনি, তোয়ালে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন। ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানি এড়াতে নিয়মিত হাত পায়ের নখ ছোট রাখুন। কেন না বড় নখে জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

কোনো স্থানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া দেখা দিলে সেখানে হাত স্পর্শ বা ঘষাঘষি না করে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে পারেন। ত্বকের যে কোনো সংক্রমণে ক্রিম, লোশন বা যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে নিতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ।

 

শিলা 

×