বহুমাত্রিক পরিকল্পনা-কর্মকৌশল গ্রহণ ও সফল
গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন তথ্যসূত্রে দেশের আপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথ ধরে আসা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক পরিকল্পনা-কর্মকৌশল গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারের প্রতিশ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ৭ এপ্রিল ২০২২ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তথ্য-প্রযুক্তি উন্নয়নে সরকার ২০২১ সালে দেশে ৫জি ইন্টারনেট সেবা চালু এবং একই বছর হাওড়-বিল-চর ও পার্বত্য অঞ্চলে ক্যাবল বা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। ২০২৩ সালে সংযুক্ত হবে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। মূলত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিস্তার ঘটছে ইন্টারনেটের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোগের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্টদের মতে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা তার পরবর্তী সময়কে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করতে ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু প্রস্তুতির প্রয়োজন, সরকার তার অধিকাংশই সুসম্পন্ন করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ধীরে ধীরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
৩ মার্চ ২০২২ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসসি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদানকালে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সে লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা এবং গবেষণা খাতে আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের দেয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। যারা ফেলোশিপ পাচ্ছেন, সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ, আমরা চাই দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তুলতে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করে উন্নত করতে হবে। পাশাপাশি শিল্পায়নও আমাদের দরকার। আর শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, সেটা আমাদের ধরা দরকার। তার উপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদও আমাদের গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি আগামী দিনের বাংলাদেশ বা একচল্লিশের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে সকলকে নিবিড় মনোনিবেশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
১১ নবেম্বর ২০২১ ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রদত্ত মূল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে নেতৃত্ব দিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। এক সঙ্গে উদ্ভাবনের পথে একযোগে কাজ করতে হবে, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে।
এসব পার্কে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি, বিদেশীদের জন্য শতভাগ মালিকানার নিশ্চয়তা, আয়কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে। যারা ফ্যাক্টরি বা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে তৈরি অবকাঠামো সুবিধা নিতে চান, তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।’ তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে চায়না বা ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট, হার্ডড্রাইভে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ দেখা যাবে এবং আইটি শিল্প রফতানি এক সময় পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে।
এটি সর্বজনবিদিত যে, আঠারো শতকের শেষার্ধে শিল্পোৎপাদনের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল; তার মূলে ছিল এই শিল্পবিপ্লব। এর ফলে ইংল্যান্ড বিশ্বের প্রথম শিল্পোন্নত রাষ্ট্র এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশটির সমৃদ্ধির ভিত রচিত হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। পরবর্তীকালে ইউরোপ ও পশ্চিমা জগতের অনেক রাষ্ট্র শিল্পোন্নত হলেও এ অগ্রগতি বৈপ্লবিক আকার ধারণ করতে সক্ষম হয়নি।
ইতিহাসবিদদের মতানুসারে, ইউরোপের ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার কারণ হিসেবে প্রয়োজনীয় উপাদানের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। কাঁচামালের সঙ্কট থাকলেও পুরো ভারতবর্ষসহ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের যাঁতাকলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এর জোগান সহজসাধ্য করেছিল। একদিকে চরম নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে কৃষককূলকে স্বল্পমূল্যে কাঁচামাল উৎপাদন-বিপণনে বাধ্য করা এবং অন্যদিকে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে কদর্য কৌশল অবলম্বন ব্রিটিশ রাজের দ্বিমুখী শোষণ প্রক্রিয়াকে পাকাপোক্ত করেছিল বলে বিশিষ্ট দার্শনিক-বিজ্ঞজনের বিশ্লেষণে প্রতিফলিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইংল্যান্ডসহ কতিপয় দেশের সমৃদ্ধি তাদের প্রাগ্রসর সমাজকে উন্নীত করলেও বিপরীতে অনুন্নয়নের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ সমাজ ব্যবস্থাগুলোকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিয়ে অধিকতর অনগ্রসর জনপদে নিপতিত করে।
মূলত বাষ্প ও জলশক্তি ব্যবহার করে হস্তচালিত শিল্পোৎপাদন ব্যবস্থাকে মেশিনচালিত পদ্ধতিতে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল। ১৮৭০ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে রেলপথ ও টেলিগ্রাফ নেটওয়ার্কের ব্যাপক বিস্তারের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব বা প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সূচনা ঘটেছিল যা মানুষ এবং চিন্তাভাবনার দ্রুততর স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি করেছিল। এটি ছিল উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুর্দান্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সময়। এই বিপ্লবের মূল আবিষ্কার ছিল বিদ্যুত।
ক্রমান্বয়ে বিদ্যুত চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং শিল্পে বাষ্পীয় ইঞ্জিনকে প্রতিস্থাপন করা হয়। দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবের নতুন প্রযুক্তির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাসায়নিক শিল্পের উদ্ভব এবং প্লাস্টিক-রাসায়নিক সার-কীটনাশক ইত্যাদি উৎপাদনের সূচনা ও প্রসার। বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে দুটি বিশ্ব যুদ্ধের শেষে শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির চলমান শিথিলতায় তৃতীয় শিল্পবিপ্লব তথা ডিজিটাল বিপ্লবের উন্মেষ। এর প্রায় এক দশক পরে আসে ফ্লোটিং-পয়েন্ট নাম্বার এবং বুলিয়ান লজিক ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশে সক্ষম জেড ওয়ান কম্পিউটার। যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পরবর্তী উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হচ্ছে সুপার কম্পিউটার।
ইন্টারনেটের উদ্ভবে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। উন্নত দেশের জনগণ প্রথমে তারযুক্ত টেলিফোন ও বেতার ফোনের পর্যায়ে অগ্রসর হলেও মোবাইল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ সরাসরি মোবাইল ফোনের জগতে প্রবেশ করে। স্মার্ট মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ফলে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ সম্ভব হয়েছে। উক্ত সময়ে উৎপাদন প্রক্রিয়াতে কম্পিউটার এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারে আধুনিক যন্ত্রপাতি দীর্ঘ সময় প্রচলিত মানবশক্তির অবস্থানকে দখলে নেয়।
ডিজিটাল বিপ্লবের আশীর্বাদে উৎপাদন ব্যবস্থায় কল্পনাতীত পরিবর্তন প্রত্যাশিত। উৎপাদনের জন্য মানুষকে যন্ত্র চালানোর পরিবর্তে যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও নিখুঁত ও নির্ভুল কর্ম সম্পাদন করার ভিত্তি রচনা করবে। পাশাপাশি চিকিৎসা, যোগাযোগ, প্রকাশনা ইত্যাদি খাতে এর দৃশ্যমান প্রভাব অধিকতর জোরালো হবে। শোয়াব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আগাম ফসল হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষের পরিধেয় বস্ত্র এবং চশমার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে ইন্টারনেট।
মানুষের শরীরে পাওয়া যাবে স্থাপনযোগ্য মোবাইল ফোন। ৯০ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করবে। আমেরিকার ১০ শতাংশ গাড়ি হবে চালকবিহীন। ৩০ শতাংশ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অডিট হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অডিটর দিয়ে। এমনকি কোম্পানির বোর্ডের একজন পরিচালক হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে সৃষ্ট নতুন সম্ভাবনার বিপরীতে তৈরি হয়েছে নানাবিধ ঝুঁকি বা প্রতিবন্ধকতা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) দাবি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ চাকরি হারাতে পারে। প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাবে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বিদেশে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে পারেন। একটি যন্ত্র সম্ভাব্যভাবে ১০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়মিত শ্রমিকের পরিবর্তে অনিয়মিত শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে।
মূলত শ্রমঘন শিল্প স্থাপন এবং উৎপাদিত সামগ্রী ‘অব-শোরিং’ প্রক্রিয়ায় উন্নত বিশ্বে রফতানির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশসমূহ উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটের ব্যবহারে উৎপাদনে শ্রমের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস ও শ্রম বাবদ খরচ সাশ্রয়ে সে সব উৎপাদন প্রক্রিয়া নতুন করে উন্নত দেশে ফিরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ উন্নয়নশীল বিশ্বকে প্রচ- হুমকির সম্মুখীন করবে। এই বিপ্লবের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে উচ্চ ব্যয়, উপযুক্ত ব্যবসায়িক মডেলের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, অস্পষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা ও অতিরিক্ত বিনিয়োগ।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ, নজরদারি ও অবিশ্বাস তৈরি, সামাজিক বৈষম্য এবং অস্থিরতা বৃদ্ধিও অস্বাভাবিক নয়। রাজনৈতিকভাবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সামগ্রিক দলীয় শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের সম্ভাব্যতা সৃষ্টিসহ আরও অগণিত প্রতিবন্ধকতার দুর্ভেদ্য প্রাচীর নির্মাণের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য সঙ্কটসমূহ যথার্থ অনুধাবনে সময়োপযোগী কর্ম পরিকল্পনা ও দৃশ্যমান বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার আশ্রয় গ্রহণ সরকারকে বিপুল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবেই। এ ধরনের বস্তু-সত্যনিষ্ঠ উপলব্ধির ভিত্তিতে জনগণের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা ব্যক্ত করা মোটেও অমূলক-অযৌক্তিক নয়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়