ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কোরবানির পশুর হাট

রাজধানীতে কোরবানির পশুরহাট ইতোমধ্যে বসে গেছে। আনা হয়েছে অনেক পশু। সবই করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা এ মাসের ১৩ তারিখে। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন পশুর হাটের জন্য জায়গাও ঠিক করে দিয়েছে। দক্ষিণে ১৩টি উত্তরে ৮টি পশুর হাট বসেছে। জানা গেছে এছাড়া আরও তিন হাটের ইজারা স্থগিত রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়া গেলে এগুলোও চালু করা হবে। যেসব স্থানে পশু উঠেছে একটি বাদে তার সবই স্থায়ী। সব হাটেই পশু আনা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেইÑ কোন কোন এলাকায় হাঁটার জায়গা ছাড়িয়ে বাইরেও পশু রাখা হয়েছে। পশু তো আগেই এসেছে এখনও আসছে। রাস্তা তথা চলাচলের পথে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। অতীতেও দেখা গেছে নির্ধারিত হাটের বাইরে মানুষের চলাচলের পথে পশু রাখা হয় কোন কোন স্থানে পথের মোড়েও রাখা হয় পশু। এবারে প্রথম থেকে যে আলামত দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যায় মানুষের চলাচলের পথে অর্থাৎ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি হবে। এক কথায় সৃষ্টি হবে যানজট। যানজট রাজধানী ১২ মাসের সমস্যা। সমস্যাটি যে ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে তার কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে সমস্যাটি দিন দিন তীব্র হচ্ছে। পশুর হাট নির্ধারিত স্থানের বাইরে সম্প্রসারিত হলে এই সমস্যাটি প্রকটতর হবে এখন তারই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যারা পশু কিনতে যাবেন তাদের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে সাধারণ নগরবাসীদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখা উচিত। এবার কোন কোন হাটে পশুর অত্যধিক দাম হাঁকার অভিযোগ উঠেছে। শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে আরও একটি বিষয়ে। সেটি হচ্ছে মোটা গরুর ব্যাপারে। গরুকে ওষুধ খাইয়ে বা ইনজেকশন দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করা হয়। বিক্রেতার লক্ষ্য মোটা দাম হাঁকা এখন এটি যে কী সর্বনাশের ব্যাপার তা ভাল বলতে পারেন বিশেষজ্ঞরা, চিকিৎসকরা। খাওয়ার মাধ্যমে বা ইনজেকশন দিয়ে গরুর শরীরে যা দেয়া হয় তা এক কথায় বিষ। ঐ গরুর মাংস পেটে গেলে সেটা বিষের মতোই কাজ করবেÑ এবারের সকল হাটে ওষুধ দিয়ে মোটা করা গরু যাতে ঢুকতে না পারে বা ঢুকলেও কোন বিক্রেতা সেটা কোন ক্রেতাকে গছাতে না পারে কর্তৃপক্ষের সেটা নিশ্চিত রাখা অত্যন্ত জরুরী। কোন কোন হাটে দেখা যেতে পারে পকেটমার, ঠকবাজ বা নোট জালকারীদের দৌরাত্ম্য সে জন্য এ ব্যাপারে আরও যথাযথ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের নিরাপত্তা জোরদার করা খুবই জরুরী। সেগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের জোরদার ভূমিকা মানুষ আশা করে। নগরবাসী চায় হাটগুলোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত হোক। হাটসংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোকে পরিচ্ছন্ন, যানজটমুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করা হোক।
×