
ছবিঃ সংগৃহীত
ঈদুল আযহা উপলক্ষে চলতি মাসের শুরুতে বাজারে ছাড়া হয়েছে নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট। তবে নতুন এই নোট গ্রাহকদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের সিআরএম (ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন) ও মেট্রো রেলের ভেন্ডিং মেশিনে নতুন নোট জমা বা ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকরা।
এটিএম মেশিন থেকে টাকা উত্তোলনে সমস্যা না হলেও নতুন ১০০০ টাকার নোট সিআরএম মেশিনে জমা দিতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
এক গ্রাহক জানান, “আমার কাছে ৮ হাজার টাকা নতুন নোট, আর ২ হাজার টাকা পুরনো নোট আছে। একজনকে ১০ হাজার টাকা পাঠাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সিআরএম মেশিন নতুন নোট গ্রহণ করছে না। ফলে পড়েছি বিপাকে।”
এ সমস্যা শুধু ব্যাংকিং সেবাতেই নয়, মেট্রো রেলের ভেন্ডিং মেশিনেও দেখা যাচ্ছে। ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন যাত্রীরা।
এক যাত্রী বলেন, “নতুন টাকা দিয়ে তিনবার চেষ্টা করেছি টিকিট কাটতে, কিন্তু মেশিন বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছে। এটা খুবই কষ্টকর। সরকারের ছাপানো টাকা যদি আমরা ব্যবহার করতে না পারি, তাহলে সেটা বিপজ্জনক।”
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, এটিএমে নতুন নোট ব্যবহারে তেমন সমস্যা না থাকলেও সিআরএম মেশিনে সফটওয়্যার আপডেট না হওয়ায় মেশিন নতুন নোটকে শনাক্ত করতে পারছে না। ফলে নতুন টাকা জমা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে মেশিনগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সিআরএম ও অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনে নতুন নোট শনাক্ত করার জন্য সফটওয়্যার আপডেট প্রয়োজন। ইতোমধ্যে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “মেশিনে সফটওয়্যার আপডেট না থাকলে সেটি নতুন নোটকে চেনে না। এতে মেশিন নোটটিকে সাধারণ কাগজ হিসেবে গণ্য করে এবং রিজেক্ট করে। এই সফটওয়্যার আপডেট হওয়ার পরই মেশিনগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে।”
তিনি আরও জানান, নতুন নোট ছাড়ার পরপরই ঈদের ছুটি পড়ে যাওয়ায় সফটওয়্যার সমন্বয়ে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ে সমস্যার সমাধানে কাজ চলছে।
গ্রাহকরা আশা করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এই প্রযুক্তিগত জটিলতা দূর করবেন, যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ব্যাংকিং ও দৈনন্দিন লেনদেন করতে পারেন।
মারিয়া