
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ এখনো নানা সংকট থেকে মুক্তি পায়নি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং তা সুপ্রতিষ্ঠিত করার অনেক কাজ এখনো বাকি। গণতন্ত্রের সৌধ নির্মাণে আমাদের যে দায়িত্ব, তা আমরা নানাভাবে, নানা দিক থেকে এবং আমাদের নেতা তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, এত অপপ্রচারের মুখেও আমরা কাজ করে গিয়েছি। বিগত শেখ হাসিনা গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি এবং তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছেন। অকথ্য মিথ্যাচার করেছেন। তিনি একটি প্রখ্যাত পরিবারের কন্যা, জনাবা ডা. জুবায়দা রহমানের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। অথচ ডা. জুবায়দা একজন বিনয়ী, আন্তরিক এবং সৌজন্যবোধসম্পন্ন মানুষ। এমন একজন মানুষকেও শেখ হাসিনার সরকার ছাড় দেয়নি।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনর্গঠনে তারেক রহমানের যে ভূমিকা তা আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি। তিনি ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ গঠনের মাধ্যমে একটি বৃহৎ সংগঠনের সূচনা করেছেন, যেখানে আমরাও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছি। এই সংগঠনের মাধ্যমে দেশে যারা রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন, নিহত, আহত কিংবা নিপীড়িত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মেধাবী সন্তানদের খুঁজে বের করে তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “গতকাল আমরা চট্টগ্রামে গিয়ে দেখেছি, এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক যুবক অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে ড্রোন নির্মাণ করছে। এখনো যেখানে গাড়ি চলে না, এমন দূরবর্তী স্থান থেকেও তারেক রহমান তথ্য পেয়ে সেখানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”
রিজভী বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের দেশীয় সংস্কৃতি এবং আবহমান ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং চর্চার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। আমাদের বিশ্বাস, প্রকৃত গণতন্ত্রই হলো সভ্যতার মাপকাঠি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছামতো ইতিহাস রচনা করেছেন, পাঠ্যবই পরিবর্তন করেছেন। অথচ বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এটি কল্পনাও করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, “প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে প্রকৃত ইতিহাস রচিত হবে। সঠিক গবেষণা হবে, এবং এই গবেষণার মাধ্যমে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।”
রিজভী মনে করেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনসমূহের মাধ্যমে এ বার্তা জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যে, রাজনীতি শুধু রাজপথে করার বিষয় নয়। জাতীয়তাবাদী আদর্শের অনুসারীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন খাতে কাজ করবে এবং মানুষের পাশে থাকবে। একটি প্রতিভাবান তরুণকে কীভাবে গড়ে তোলা যায় কিংবা একজন নিপীড়িত মানুষকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে দায়িত্বও বিএনপি পরিবার নিচ্ছে।
রিজভী আরও বলেন, “আমরা আজ এখানে এসেছি একজন সম্ভ্রান্ত ও প্রখ্যাত পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা পরিবার এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবায়দা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে। এ উপলক্ষে আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে একটি শুভ সূচনা করছি এবং আমি এই শুভ সূচনার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।”
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1Bp8KeDfJ7/
মারিয়া