
ছবি: সংগৃহীত
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়টি একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। তিনি জানান, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলও একটি রোডম্যাপের আওতায় নির্বাচন চাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা ঘোষিত ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সময়কাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যদিও বিভিন্ন পর্যায়ে পাঁচ বছরের সরকার নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টা স্পষ্ট করেছেন যে, জুনের একদিন পরেও নির্বাচন গড়াবে না।
তিনি বলেন, “যখন ডিসেম্বরকে টাইমলাইন ধরা হয়, তখন রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়টাকেই লক্ষ্য করবে। এখন বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো যে ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে তার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা সরকারকেই দিতে হবে।”
জুনায়েদ সাকি মনে করেন, রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়—এটা তাদের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এতে কোনো অন্যায় নেই। তিনি বলেন, “একটি অভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া একটি স্বাভাবিক রাজনৈতিক দাবি।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় এতটা দীর্ঘ করা হয়েছে। তার মতে, গত ১০ মাসে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—এই তিনটি দায়িত্ব পালন করা জরুরি ছিল। বিশেষ করে, যখন নির্বাচন নিজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের অংশ হিসেবে বিবেচিত।
জুনায়েদ সাকি বলেন, “নির্বাচন ছাড়া সংবিধান সংস্কার কীভাবে শেষ করবেন? আমরা মনে করি, সংবিধান সংস্কারের প্রশ্নটি একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যান্য সংস্কার অধ্যাদেশ আকারে করা গেলেও, সেগুলো শেষ পর্যন্ত সংসদে গিয়ে অনুমোদন নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামে ভোটাধিকার একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যেমন স্বাধীনতা সংগ্রাম দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, তেমনি ভোটাধিকার একটি সর্বজনীন নাগরিক অধিকার হওয়ায় সকল মতাদর্শের মানুষ এই দাবির পক্ষে এসেছেন।
“সে কারণেই নির্বাচন আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সামনে এসেছে,”—যোগ করেন জুনায়েদ সাকি।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=y7zt4RRevkU
আবির