
ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানেই দুর্বল সরকার। কারণ এই সরকারের পেছনে কোনো জনসমর্থন নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহুবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার চীনের একটি প্রকল্প বাতিল করে ভারতের প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—এটি অন্য দেশের প্রতি তাদের নতজানু মনোভাবের প্রকাশ।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের মানুষকে হাসিনা সরকার মানুষই মনে করতো না। তারা নিজেদের পারিবারিক সম্পদ বাড়াতে ব্যস্ত এবং ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে বিভিন্ন সময় দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করে গেছে। তবে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, আমরা আশা করব, তারা আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। যদিও এখন পর্যন্ত সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি।"
তিনি বলেন, "বর্তমানে দেশের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে, বিশেষ করে পানির আগ্রাসন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমান বিশ্বে সামরিক শক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক দেশ রয়েছে যাদের সামরিক বাজেট সীমিত, তবুও তারা জনগণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়েছিল। যেহেতু উভয় দেশ পারমাণবিক শক্তিধর, তাই কম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ থেমে যায়।"
হাফিজ উদ্দিন বলেন, "বর্তমান সরকার একটি 'মানবিক করিডরের' কথা বলছে, কিন্তু সেই করিডরের ধরন, লক্ষ্য কী, তা কেউ জানে না। জনগণ, রাজনৈতিক দল, এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও অন্ধকারে। কেউ বলছে চুক্তি হয়েছে, কেউ বলছে হয়নি, আবার কেউ বলছে শর্ত প্রকাশ করা যাবে না। এটা কী ধরনের সরকার? আমরা তো গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর সংগ্রাম করেছি, সেই মাফিয়া সরকারকে বিদায় দিয়েছি—তবুও কেন আমরা এখনো অন্ধকারে থাকব?"
তিনি প্রশ্ন রাখেন, "সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। অথচ আমরা জানিই না, এই করিডরের উদ্দেশ্য কী? আমরা কি যুদ্ধে জড়াতে যাচ্ছি? আমাদের সামনে এখন শক্তি অর্জনের প্রয়োজন। সেনাবাহিনীকে শুধু রিলিফ বিতরণ বা ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহার করলেই চলবে না। প্রকৃত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনগণকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে এক প্রাণবন্ত তরুণ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে, যাদের নিয়ে আমরা দেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। আমাদের দরকার একটি নির্বাচিত সরকার, একটি প্রকৃত জাতীয় ঐক্য। আমরা আগ্রাসনের সঙ্গে জড়াতে চাই না। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক মুক্তিই আমাদের লক্ষ্য।"
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1APUhzKJfZ/
মারিয়া