
ছবি: সংগৃহিত
দুই হাজার মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের জুলাই ঐক্য। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ হলেও তার দোসররা এখনও স্বপদে বহাল। গণঅভ্যুত্থানের পর কয়েকজনের কুপরামর্শের কারণে বাংলাদেশে বিপ্লবী সরকার গঠন হয়নি। যার সুফল ভোগ করছে সচিবালয় ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা।
সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গ্যাজেট প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন স্থগিত করেছে। গ্যাজেট অনুযায়ী ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে ৫ আগস্টের পর সরকারে থাকা কিছু দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টা ও আমলারা মিলে একটি বাণিজ্য গড়ে তুলেছে। যেখানে অর্থের বিনিময়ে সচিবদের রক্ষা করার ঠিকাদারি নেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি কীভাবে আওয়ামী লীগের দোসরদের পদোন্নতি দিয়ে জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে।
ইন্টারিম সরকার সংস্কারের কথা বললেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো সংস্কার আমরা দেখতে পাইনি। তাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকে (সচিবালয়, গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক অঙ্গন) দ্রুত সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা তালিকা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এমতো অবস্থায় জুলাই ঐক্যের প্ল্যাটফর্ম থাকা ৭০টিরও বেশি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রথমে সচিবালয়ে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা প্রকাশ করার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ মে (রোববার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সচিবালয়ে থাকা দোসরদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইতোমধ্যে জুলাই ঐক্যের সংগঠকেরা তালিকা তৈরি এবং যাচাই বাছাই শুরু করেছেন। তালিকার প্রতিটি তথ্য একাধিকবার যাচাই বাছাই করেই চূড়ান্ত করা হবে। তালিকা দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে।
জুলাই ঐক্যের পরবর্তী পদক্ষেপ গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের তালিকা প্রকাশ। যার জন্য আমাদের ২০ সদস্যের একটি টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সাংবাদিক সংগঠন এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে জুলাই ঐক্যের প্রতিনিধি দল।
এসইউ