
ছবিঃ সংগৃহীত
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “মুক্ত সাংবাদিকতা মানে হলো এমন এক পরিবেশ, যেখানে সাংবাদিকরা সরকার বা রাজনৈতিক দলকে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং কারো দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না।”
তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা স্বার্থের জন্য নয়। বরং সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ব হলো তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রচারে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।” বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার এখন সমালোচনাকে উন্মুক্ত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সরকারের সমালোচনা করেও কেউ কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন না।
তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আগের আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। নতুন আইনে গ্রেফতারের আগে পরোয়ানা বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও জানান তিনি।
উপ-প্রেস সচিব আরো বলেন, “সরকার এখন আর টকশোতে কারা অংশ নেবেন বা কোন সাংবাদিক কোন রিপোর্ট কাভার করবেন তা নির্ধারণ করে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় আমরা সব সময় সচেতন।”
তিনি বলেন, “মুক্ত সাংবাদিকতা রাতারাতি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এজন্য রাজনৈতিক দল, মালিক পক্ষ ও সমাজের সব পক্ষকে সহনশীল হতে হবে।” তিনি জানান, সরকার কোনো গণমাধ্যমে মালিকানা বা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনে হস্তক্ষেপ করেনি এবং গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “আমরা সব সময় চেয়েছি সাংবাদিকরা যেন কারো হাতিয়ার না হন। এজন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামে এমন একটি আলোচনার আয়োজন করায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “সংবাদের কোনো সদর মফস্বল নাই—এই সত্য চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন যেমন বলেছেন, আমরাও তা বিশ্বাস করি।”
মারিয়া