ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক হবে 

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ৩০ আগস্ট ২০২৩

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক হবে 

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএইচডি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চাইতেও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।  

বুধবার (৩০ আগস্ট) আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এই কথা বলেন। হাতিরঝিলের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। আর হাতিরঝিল কিন্তু বদ্ধ জলাশয়। এটা (আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল) উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু নদীর অববাহিকা, সেহেতু এটিকে আরও সুন্দর, আরও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তুলতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।

ডেঙ্গু নিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল আমাদের রোগী ছিল মাত্র ৫২ জন। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

তাপস বলেন, এছাড়াও আমরা ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করেছি। তারা প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। যেহেতু এই চ্যানলটি কালুনগর স্লুইচ গেট থেকে মুসলিমবাগ পর্যন্ত দীর্ঘ সাত কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত, সেহেতু ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে এক এক কিলোমিটার করে বা অংশ অংশ ধরে কিংবা যেভাবে পরামর্শকরা উপযুক্ত মনে করেন সেভাবেই নকশা প্রণয়নের জন্য আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। সে কাজটি এখন চলমান।

মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খনন কাজ সম্পন্ন করেছি। আপনারা জানেন, এই নদীর অববাহিকা পূর্ণরূপেই ভরাট করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদী প্রবাহের সেই অববাহিকা আবার ফিরে এসেছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা আমাদের বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে আরও প্রায় ৩৫ কোটি টাকা অর্থ সংস্থান রেখেছি এবং সীমানা নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের খনন কাজ বিশেষ করে এই বেড়িবাঁধের পাশ দিয়ে ঢালের যে অংশ বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গিয়েছিল সেই অংশটা আমরা এই মৌসুমে পূর্ণরূপে দখলমুক্ত করতে চাই।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, কাউন্সিলরদের মধ্যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এস

×