ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ৬ রাষ্ট্রদূতের অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ২১:৫১, ১৫ মে ২০২৩

ঢাকায় ৬ রাষ্ট্রদূতের অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন

ঢাকায় অবস্থানরত ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা সাময়িকভাবে বাতিল করেছে সরকার। দেশগুলোর মিশন প্রধানরা এতদিন অতিরিক্ত প্রটোকল সুবিধা পাচ্ছিলেন। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি আরব। 

সরকারি এক সিদ্ধান্তে রবিবার (১৪ মে) এই বাড়তি সুবিধা বাতিল করা হয়। পুলিশ বলছে, শুধু যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রই নয়-নিয়মের বাইরে যেসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা অতিরিক্ত প্রটোকল সুবিধা পেতেন, তাদের প্রত্যেকেরই অতিরিক্ত সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সব রাষ্ট্রদূতের অতিরিক্ত সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ, উন্নত দেশে এ ধরনের সুবিধা কেউ দেয় না। এছাড়া আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা এত খারাপ না যে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলে, শপিং মলে গুলি করে মেরে ফেলে- এরকম আমাদের দেশে অবস্থা নেই।’

তিনি বলেন, তৃতীয় কারণ হচ্ছে কৃচ্ছ্রসাধন। অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং এ কারণে এটি বেশি হয়ে যাচ্ছিল। দিন দিন খালি বাড়ছিল।’

আমাদের ফোর্সগুলো প্রয়োজন, কারণ আমাদের মেট্রো ও পদ্মা সেতু চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ যদি চায় এই ফোর্স, তারা ভাড়া করতে পারবে অর্থের বিনিময়ে এবং এটি অন্য দেশেও আছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশে কোনও রাষ্ট্রদূত পতাকা উড়িয়ে ভ্রমণ করেন না-আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপের কোনও দেশে। আমরা চিন্তা করছি, এ বিষয়টিও আমরা প্রত্যাহার করবো কিনা।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, তাদের জন্য বাসাবাড়ি, অফিস, মুভমেন্ট, সব সময় আমরা নিরাপত্তা দিয়ে আসছি। তাদের কোনো রকম নিরাপত্তার ঘাটতি হোক সেটা আমরা চাই না। তারা যখন মুভমেন্ট করেন, তখন সামনে পেছনে প্রটেকশন গাড়ি থাকত। এর বাইরেও অতিরিক্ত আরেকটি গাড়ি থাকত। এ ছাড়া দুজন ফোর্স থাকত।

তিনি বলেন, আমাদের অন্যান্য ডিভিশনের ফোর্স ক্রাইসিসের কারণে আপাতত একটা সমন্বয় করা হয়েছে। মূল যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা, সেটার কোনো ঘাটতি নেই। সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফোর্সের স্বল্পতার কারণে আপাতত এ সিদ্ধান্ত।
 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×