ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জাল ডলার-রুপি তৈরি চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জাল ডলার-রুপি তৈরি চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

গ্রেফতার  

খালি চোখে জাল ডলার ও রুপি কোনোভাবেই ধরার উপায় নেই। চক্রটি মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে এভাবেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশি জাল টাকা, রেভিনিউ স্ট্যাপ ও বিদেশি জাল মুদ্রাসহ চক্রটির চারজন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে তাদের থেকে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ। 

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এর আগে চক্রটির চার সদস্যকে ঢাকার দারুসসালাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উজ্জল দাস ওরফে সোবহান শিকদার (৩৪), আব্দুর রশিদ (৫৫), মমিনুল ইসলাম (৪৬) ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল (৪০)। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশি জাল নোট, ১ কোটি ২০ লাখ মূল্যমানের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, বাংলাদেশি ২০০ টাকার নোট সদৃশ জাল টাকা বানানোর ২টি তামার প্লেট, ১৩টি জাল টাকা তৈরির স্ক্রিন ফ্রেম, বিভিন্ন সাইজের জাল টাকা তৈরির সিকিউরিটি সুতা, ২টি জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরির পজেটিভ (ফর্মা), ৯ টি ফয়েল পেপার, ২টি জাল টাকা কাটার কাজে ব্যবহৃত গ্লাস, ১০টি  ট্রেচিং পেপার, ২৫টি রঙের কৌটা, একটি হটগান, একটি লেমিনেটিং মেশিন, একটি এইচপি ল্যাপটপ, একটি এপসন প্রিন্টার, ২টি ডাইস, ১০টি স্ক্রিন তৈরির কাপড়, রেভিনিউ স্ট্যাপ ও বিদেশি জাল মুদ্রা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন থেকেই জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে আসছিল। গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দারুসসালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা, ভারতীয় রুপি, আমেরিকান ডলার ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুতকারক জালিয়াত চক্রের মূল হোতা উজ্জল দাস ওরফে সোবহান শিকদারকে (৩৪) গ্রেফতার করা হয়। 

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দারুসসালাম এলাকার একটি বহুতল ভবনের ৫ম তলার ফ্ল্যাট বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দেশের জাল নোট, রুপি, ডলার ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুতকালে সর্বমোট প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যমানের জাল টাকা, রুপি, ডলার, রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও সরঞ্জাম-উপকরণসহ আব্দুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম (৪৬), শাহ মোঃ তুহিন আহমেদ ওরফে জামালকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×