ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফারদিনের আত্মহত্যার প্রমাণ দেখতে ডিবি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

ফারদিনের আত্মহত্যার প্রমাণ দেখতে ডিবি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা

ডিবি কার্যালয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর আত্মহত্যার প্রমাণ দেখতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। 

পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিত রেখে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থী রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আসেন। 

ডিবি কার্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল বুধবার রাতে ডিবি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা তদন্তের ফাইন্ডিংসের পক্ষে প্রমাণাদি আমাদের দেখাতে চান। সেজন্য আপাতত পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে আমরা ডিবি কার্যালয়ে আসা। ডিবির ডকুমেন্ট ও এভিডেন্সগুলো দেখে তাদের পরবর্তী বক্তব্য জানানো হবে।

এর আগে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে গতকাল বুধবার সন্ধায় সংবাদ সম্মেলনে জানান ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ডিবি প্রধান বলেন, ঘটনার দিন তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেছেন।  তার মানসিক সমস্যা ছিল বলেই ওই রাতে  তিনি এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি সবার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে পারতেন না। সর্বশেষ তাকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। সারা রাত দিকবিদিক ছোটাছুটি করেছেন। কারও সঙ্গে ওই রাতে দেখা করেননি।

ডিবির সংবাদ সম্মেলনের পর পরই রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের পক্ষ থেকেও প্রেস ব্রিফিং করা হয়। র‌্যাব জানায়, ফারদিন রাত ২টার পর স্বেচ্ছায় ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। 

এর আগে গত ৪ নভেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ। এর তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।  

মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা।

 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×