স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাধারে আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক। তার গানের মধ্যে আছে এক বিরল মানব দর্শন। তিনি হলেন লালন শাহ, যিনি লালন ফকির বা লালন সাঁই নামেও পরিচিত। গান, সম্মাননা আর কথামালায় লালন ফকিরকে স্মরণ করে সাংস্কৃতিক সংগঠন লালন পড়শী একডেমি। ‘শিল্পের যাত্রায় আমরা’ স্লোগানে দনিয়া স্টুডিও থিয়েটার হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে করোনাকালীন কর্ম হারিয়ে ফেলা সাংস্কৃতিক কর্মীদের আর্থিক প্রণোদনাও দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে করোনা বাস্তবতায় লালন স্মরণে সঙ্কট ও করণীয় বিষয় বক্তব্য রাখেন নাট্যজন আবু আজাদ, শাহ নেওয়াজ, ইকবাল হাফিজ, এইচ আর অনিক প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন লালন পড়শী একাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় মার্শাল আর্ট প্রতিষ্ঠান জেড কুণ্ডু’র প্রতিষ্ঠাতা ও দক্ষিণ এশিয়ার উশুর সম্মানিত বিচারক এম এ রহিম।
আলোচনা পর্বের পরে দনিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের উত্তরীয় পরিধান ও ক্রেস্ট প্রদানের পরপরই শুরু হয় লালন সঙ্গীত উপস্থাপন। ‘সত্য বল সুপথে চল / জাত গেলো জাত গেলো বলে প্রভৃতি গানের সুমধুর পরিবেশনায় এক মরমীয় সন্ধ্যা উপহার দেয় লালন পড়শী একাডেমির ছাত্র-ছাত্রী এবং শিল্পীরা। লালন পড়শী একাডেমির নিজস্ব মহড়া কক্ষে অনুশীলন এবং সপ্তাহের প্রতি শনিবার লালন সন্ধ্যা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন যে করে তার নিদর্শন তাদের সুললিত সঙ্গীত পরিবেশনায়। সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন রাফিয়া আক্তার, রুনা, শিপন, শাহাদাত, বাহার, জালাল, মুক্তা, রাসেল, জাহাঙ্গীর, আলফাজ, শরিফা, সুরমা, নুরুদ্দিন, সমর দাস, শহিদ, রাজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিল্পীদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান শেষে লালন পড়শীর একাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এম এ রহিম বলেন, লালনের সাধন মানবতারই অন্বেষণ।