ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে খুলনা হয়ে আসবে

ভারত থেকে আরও ৪শ’ মেও বিদ্যুত ক্রয়ে শীঘ্রই স্মারক সই

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভারত থেকে আরও ৪শ’ মেও বিদ্যুত ক্রয়ে শীঘ্রই স্মারক সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে আরও ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয়ের জন্য শীঘ্রই সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে খুলনা হয়ে এই বিদ্যুত বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এজন্য খুলনা-হলদিয়া ১৭৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে হবে। বিদ্যুতের দাম হতে পারে প্রতি ইউনিট ছয় টাকা ৪৫ পয়সা। তবে কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্রটির জ¦ালানির দর বৃদ্ধিতে বিদ্যুতের এই দাম ওঠানামা করতে পারে। চুক্তির পর ২৫ বছর ধরে বিদ্যুত পাওয়া যাবে। বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, হলদিয়াতে ৪৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রর প্রথম ১৫০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি নির্মাণ শেষ হয়েছে। বাকি ১৫০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন হলদিয়া নির্মাণ করছে। গত বছরে এপ্রিলে ভারতের পক্ষ থেকে এই বিদ্যুত বিক্রির প্রস্তাব দেয়া হয়। দেশের বাইরে বিদ্যুত কেনা-বেচার দায়িত্বে থাকা ভারতের সরকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ট্রেডিং কর্পোরেশন (পিটিসি)। এখন ভারত থেকে যে বিদ্যুত আমদানি হচ্ছে তা পিটিসিই নিয়ন্ত্রণ করছে। বিদ্যুত বিভাগ বলছে আমরা চাইছি সরাসারি ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি কারার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরমধ্যে পিটিসি এর সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পক্ষে নয় সরকার। এতে বিদ্যুতের দাম কিছুটা কম পড়বে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানির এই চুক্তিটি সই করার পক্ষে মত দিয়েছে বিদ্যুত বিভাগ। ভারতের আদানি গ্রুপও বাংলাদেশে বিদ্যুত বিক্রি করার জন্য এমওইউ সই করেছে। ঝাড়খ-ে কয়লাচালিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এখান থেকে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত বাংলাদেশে বিক্রি করা হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম চূড়ান্ত করা হয়েছে ৬ টাকা ৮৯ পয়সা। জানা গেছে, এই বিদ্যুত খুলনা দিয়ে আনা হবে। এজন্য হলদিয়া বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে খুলনার গোয়ালখালি পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে হবে। এই লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ১৭৫ কিলোমিটার। ইন্ডিয়া পাওয়ারের হলদিয়া বিদ্যুত কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ৪৫০ মেগাওয়াট। এরমধ্য থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করা হবে। বাংলাদেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে যে দরে বিদ্যুত কিনছে এই বিদ্যুতের মূল্যেও একই রকম হতে পারে বলে ধারণা কার হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়লার মূল্য এবং সঞ্চালন লাইনের চার্জ ও সঞ্চালন লস বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুসারে প্রতি কিলোওয়াটের সঞ্চালন মাশুল ধরা হয়েছে দশমিক ০৮৪ ডলার। বাংলাদেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে যে দরে বিদ্যুত কিনছে এই বিদ্যুতের মূল্যেও একই রকম হতে পারে বলে ধারণা কার হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে কয়লার মূল্য এবং সঞ্চালন লাইনের চার্জ ও সঞ্চালন লস বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুসারে প্রতি কিলোওয়াটের সঞ্চালন মাশুল ধরা হয়েছে দশমিক ০৮৪ ডলার। সব মিলিয়ে ইউনিট প্রতি দর সাত টাকার উপরে পড়বে।
×