ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ইউপি সদস্যকে ফাঁসিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার কয়েকদিন যেতে না যেতেই এবার একই দারোগা দোকানের সামনে ইয়াবা ফেলে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালায়। অবশেষে স্থানীয়দের তীব্র প্রতিরোধের মুখে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে সটকে পড়েন ওই দারোগা। এ নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গৌরনদী পৌর এলাকার কাছেমাবাদ বাসস্ট্যান্ডে। ওই বাসস্ট্যান্ডের মুদি ব্যববাসী সাইফুল ইসলাম তালুকদার জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর তার দোকানের সামনে সাদা পোশাকে আসেন গৌরনদী মডেল থানার এসআই ফখরুদ্দিন। কিছুক্ষণ পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি কল আসার পর তিনি (এসআই) দোকানের সামনে পড়ে থাকা একটি সিগারেটের প্যাকেট তুলে ওই প্যাকেটে ইয়াবা আছে বলে জানিয়ে তার (সাইফুল) বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ তোলেন। এসময় বাসস্ট্যান্ডের অপর ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দারোগার ইয়াবা নাটকের তীব্র প্রতিবাদ করেন। ব্যবসায়ী সাইফুল অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে এসআই ফখরুদ্দিন তেল খরচের কথা বলে তার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেন, নতুবা তাকে (সাইফুল) থানায় নিয়ে যাওয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সামনে বসেই তিন হাজার টাকা দেয়ার পর এসআই ফখরুদ্দিন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের ইয়াবার নাটক সাজিয়ে হয়রানি করায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মাহিলাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাসান আল মামুন অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন পূর্বে এসআই ফখরুদ্দিন তাকে তল্লাশির নামে তার প্যান্টের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ সময় তার সচেতনতায় এসআই ফখরুদ্দিনের ইয়াবা নাটক ধরা পড়ে যায়। অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই ফখরুদ্দিন জানান, সোর্সের ভুল তথ্যের কারণে মিসটেক হয়েছে। অর্থ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। চট্টগ্রামে বাড়তি ফি আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান বেসরকারী স্কুল স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বেসরকারী স্কুলগুলোতে ভর্তি, পুনঃভর্তি ও উন্নয়ন ফির নামে বাড়তি অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে নগরীর ৯৮টি স্কুলকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই শুরু হয়েছে। এতে প্রথম পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ছকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তির বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের বিশ্লেষণ প্রদান করবে। অপরদিকে, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে যাচাইবাছাই করবেন কমিটির পাঁচ সদস্য। এদিকে, নগরীর ১৬টি থানা এলাকায় পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যক্ষভাবে তদন্ত করে যদি ৯৮টি স্কুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ পায় সেক্ষেত্রে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×