ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে বিদেশ যাত্রী

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। রবিবার গভীর রাতে ভাটারা থানা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ ভিওআইপি ব্যবসায়ী চক্রটির এক্সিকিউটিভ অপারেটর ফয়েজুল্লাহ রিয়াদ (২৬), মোকলেছুর রহমান (৩৬) ও সাইফুল ইসলাম (২৫)। আটকের পর সোমবার এক প্রেস বিফ্রিংয়ে র‌্যাব জানায়, আটক ভিওআইপি ব্যবসায়ী চক্রটি প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি টাকার আমদানি পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত কর (ট্যারিফ) ফাঁকি দিত। এভাবে গত ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা। সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে র‌্যাব-২ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পরিচালক ড. দিদারুল আলম এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, চক্রটির প্রধান অর্থদাতা দিদারুল আলম নামে এক কুয়েত প্রবাসী। বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে তারা বছরে দুই কোটি টাকা করে সরকারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন বলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন র‌্যাবকে জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটককৃতদের কাছ থেকে এক হাজার ৮৭৯টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম কার্ড, ৩২ পোর্টের চারটি ভিওআইপি সেট, ভিওআইপি এ্যান্টেনা ৩৪টি, ল্যাপটপ তিনটি এবং ১২টি ওয়্যারলেস রাউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসব সরঞ্জামের আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে বিদেশযাত্রী ॥ রাজধানীর উত্তরায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে এক বিদেশযাত্রী লাখ টাকা খুইয়েছেন। মোঃ আরিফ (২৮) নামে ওই ব্যক্তি আজিমপুর রসুলবাগের ১৮০নং বাড়ির বাসিন্দা এবং দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সোমবার দুপুরে উত্তরা থানার জসীমউদ্দীন রোডে ২৭ নম্বর বাসে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আরিফের চাচা তিলু মিয়া বলেন, সকালে আমি ও আরিফ মালয়েশিয়া যাওয়ার টিকেট নিশ্চিত করতে এক লাখ টাকা নিয়ে উত্তরায় একটি অফিসে গিয়েছিলাম। একটি সমস্যার কারণে আজ টিকেট নিশ্চিত করতে পারিনি। পরে টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিতে ২৭নং বাসে উঠি। দু’জন আলাদা আলাদা সিটে বসি। ফার্মগেটের খামারবাড়ী এলাকায় এসে লক্ষ্য করি আরিফ ঘুমাচ্ছে আর মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে। তা দেখে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ঢামেকের নতুন ভবনে আরিফ চিকিৎসাধীন। গারো তরুণী ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ॥ আদিবাসী গারো তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদে রাজধানীর নর্দ্দায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের বিক্ষুব্ধ অধিবাসীরা। সোমবার বিকেল চারটার দিকে নর্দ্দার প্রগতি সরণিতে এ বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। রাস্তার এক পাশ বন্ধ করে রাখায় এ সময় নর্দ্দা মোড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অলিক মি এ বিষয়ে জানান, রবিবার রাতে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে বাসায় ঢুকে আদিবাসী ওই গারো তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের চেষ্টা চালায় স্থানীয় প্রভাবশালী আশরাফ দেওয়ান। ওই তরুণীর চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আশরাফ। ধস্তাধস্তিতে আহত হন ওই তরুণী। তিনি আজমপুরের স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। এদিকে পুলিশ ওই রাতেই অভিযুক্ত আশরাফ দেওয়ানকে আটক করে। ওয়েলকাম পার্টির সদস্য আটক ॥ এবার আটক করা হয়েছে ওয়েলকাম পার্টির এক সদস্যকে। মহানগর ডিবি পুলিশ মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার রহমান কমúেøক্সে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল ফোনে প্রতারণাকারী ওয়েলকাম পার্টির এই সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ শিপন মোল্লা। এ সময় তার হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত এজেন্ট মোবাইল ও ডেইলি ট্রানজেকশন রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তিনি মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা লটারির তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থ আত্মসাত করে থাকেন। উল্লেখ্য, জনৈক মিসেস মনোয়ারা ভূঁইয়ার কাছ থেকে মোবাইলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন শিপন। এ বিষয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। বনশ্রীতে কাজের মেয়ে হত্যাকারী ২ জন গ্রেফতার ॥ বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক গৃহপরিচারিকাকে হত্যার অভিযোগে গৃহকর্তা ও গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ নাজমুন নাহার হাসনা ও আবু ইউসুফ। জানা যায়, গৃহপরিচারিকা মুন্নী রামপুরা থানার বাসা-৩৫, রোড-৪, ব্লক-ডি, বনশ্রীর এই বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করত। গত রবিবার মুন্নীর মা নজিবা বেগম মোবাইল ফোনে তার মেয়ে মুন্নীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় এসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। আশপাশের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানতে পারেন, গত ৫-৭ দিন থেকে গৃহকর্ত্রী নাজমুন নাহার হাসনা ও গৃহকর্তা আবু ইউসুফ তার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন।
×