ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্মৃতি সাহিত্যে ত্যাগের ঈদ

মো.রবিন ইসলাম

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৩ জুন ২০২৫

স্মৃতি সাহিত্যে ত্যাগের ঈদ

কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ হয়ে উঠেছে ইতিহাস, সাহিত্য ও সমাজচর্চার এক অনন্য অনুষঙ্গ। কোরবানির চিরায়ত চেতনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আত্মত্যাগের মহিমান্বিত বার্তা, যা যুগ যুগ ধরে বাঙালি মুসলমানের জীবনে নানাভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। কখনো তা পরিণত হয়েছে সাহিত্যিক ভাষ্যে, কখনোবা জীবনঘনিষ্ঠ স্মৃতিচারণায়। ইতিহাসের পাতায় কোরবানির ঈদকে ঘিরে যেমন রয়েছে ধর্মীয় বিধান পালনের নিখুঁত বর্ণনা, তেমনি রয়েছে বিরোধ, দাঙ্গা, রেডিও সম্প্রচার, পত্রিকায় উল্লেখ এবং সামাজিক বিন্যাসের প্রতিফলন। 
ঈদুজ্জোহা আসলো ফিরে
সামাজিক ইতিহাসের পরতে পরতে ‘ঈদুজ্জোহা’, ‘ঈদ-উল-বকর’ বা ‘বকর ঈদ’ নামে অভিহিত ‘ঈদুল-আজহা’ তথা কোরবানির ঈদ। ‘বকরিদ’ নামেও পরিচিত এই ঈদ। সময় সময় ‘ঈদুল-আদহা’ নামেও আখ্যায়িত হয়েছে কোরবানির ঈদ। জেমস টেলরের মতে, ১৮৩৮ সালে ঢাকা শহরের বণিকদের ভেতর চার-পাঁচজন মুসলমান ও সমসংখ্যক খ্রিস্টান ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন হিন্দু। এখনকার মতো তখন ঘরে ঘরে কোরবানি দেওয়ার মতো সমাজে তত বেশি বিত্তশালী ব্যক্তি ছিলেন না। অধ্যাপক আবদুল গফুর তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘আমার কালের কথা’য় লিখেছেন, ‘কোরবানির ঈদ বা অন্য কোনো বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া সাধারণত গরু বা বকরি জবাই করা হতো না। হাট-বাজারে গরু বা ছাগলের মাংসও এভাবে বিক্রি হতো না তখন। বাড়িতে মেহমান এলে সাধারণত মুরগি জবাই করেই তাদের আপ্যায়ন করা হতো।’ তবে হিন্দু জমিদার অধ্যুষিত এই অঞ্চলে গরু কোরবানি সম্পর্কে বৈরী মনোভাব থাকার কারণে সে সময় সাধারণত ছাগল তথা বকরি কোরবানি দিতে হতো। অমিতাভ চক্রবর্তীর লেখা ‘সাম্প্রদায়িকতা: উৎস ও প্রসার’ গ্রন্থ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে আজমগড়ে ‘বকর ঈদ’ উপলক্ষে ব্যাপক দাঙ্গা হয়। দাঙ্গা পূর্ব-উত্তর প্রদেশ, বিহার, বোম্বাই, জুনাগড় হয়ে রেঙ্গুন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। ‘ঢাকা প্রকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের সরকারি ছুটির তালিকায় দেখা যায় হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টান পর্বের জন্য ঘোষিত মোট ২৩ দিন ছুটির মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ছিল মাত্র এক দিন।
মূলত বিশ শতকের শুরু থেকে সাহিত্য ও আত্মজীবনীতে কোরবানিবিষয়ক স্মৃতিচারণা লক্ষ করা যায়। সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর (১৮৬৩-১৯২৯) লেখা ‘ঈদুল আজহা’ গ্রন্থ থেকে তাঁর ইমামতিতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের বিষয়টি জানা যায়। তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত ধনবাড়ীর ঈদগাহ মাঠে এই আয়োজন করা হয়। আধ্যাত্মিক সিদ্ধপুরুষ খানবাহাদুর আহছানউল্লার লেখা ‘ভক্তের পত্র’ শীর্ষক গ্রন্থে (পত্র সংখ্যা ৬৬, আগস্ট ১৯২১) সেকালের ঈদুল-আজহার বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। সকলেই মহোৎসবে উৎফুল্ল। আমি কেবল মজরেম হইয়া স্বীয় অন্ধকারে আচ্ছন্ন, পাপ ও তাপে কলুষিত দেহ-মন লইয়া দূরে, অতি দূরে লুক্কায়িত আছি। ...সকলেরই মুখে আজ হাসির ফোয়ারা, সকলেই কি এক দিব্য সুখে মাতোয়ারা হইয়া চতুর্দিকে ছোটাছুটি করিতেছে।...’ আহসান মঞ্জিলের নওয়াবদের আমলে কোরবানির ঈদ পালনের ব্যাপারে তারবার্তা আসত দিল্লি থেকে। তারপর তা ঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হতো পুরো শহরে। ঈদুল-আজহার চাঁদ দেখা নিয়ে মতানৈক্যের ইতিহাসও রয়েছে, যা জানা যায় গবেষক অনুপম হায়াতের নওয়াব পরিবারের ডায়েরিতে ‘ঢাকার সমাজ ও সংস্কৃতি’ গ্রন্থে উল্লিখিত ১৯২২ সালের ৩ আগস্টের দিনলিপি থেকে। সে বছর ঢাকা শহরে শুক্র ও শনিবার দুই দিন ঈদ উদযাপিত হয়। ১৯২৩ ও ১৯২৪ সালের ঈদ উদযাপনের তথ্যও সেখানে সন্নিবেশিত আছে। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাইয়ের দিনলিপিতে লেখা, ‘খাজা মওদুদ আজ হোসেনী দালান এলাকার গরুর হাটে যান। সেখান থেকে ২৫ টাকা দামে একটি গরু কিনেন কোরবানির জন্য।’ ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুলাইয়ের দিনলিপিতে লেখা, ‘আজ ঈদুল আজহা। খাজা মওদুদ লালবাগ মসজিদে নামাজ পড়েন।’ সে যুগের এসব তথ্য সামাজিক ইতিহাসের উপকরণ হিসেবে ভবিষ্যৎ গবেষকদের বহুবিধ চিন্তার খোরাক জোগাবে নিঃসন্দেহে।
কথাসাহিত্যের পাশাপাশি সেকালের বাংলা কবিতাতেও কোরবানির সরব উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। কোরবানির ঈদ নিয়ে রচিত হয়েছে বেশ কিছু পদ্য। ঈদ বিষয়ে নজরুলই সবচেয়ে বেশি বাংলা সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন তাঁর কবিতা, গান ও গজল দিয়ে। কোরবানির ঈদকে তিনি বিশ্লেষণ করেছেন নতুন রূপে, কোরবানির দার্শনিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপস্থাপন করেছেন। খোদায়ি ফরমান কোরবানি দেওয়ার তাকিদ দিয়ে লিখেছেন,
‘ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এল আবার দুসরা ঈদ। কোরবানি দে কোরবানী দে শোন্ খোদার ফরমান্ তাকীদ্।’
আত্মজীবনী ‘কাল নিরবধি’তে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ১৯৪০-এর দশকে কোরবানি ঈদের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘বকরিদে আমরা প্রতি বছর কোরবানি দিতাম নাÑমাঝে মাঝে তা বাদ পড়তোÑভক্তির অভাবে অতটা নয়, যতটা সামর্থ্যরে অভাবে। বড়রা চেষ্টা করতেন পশু-জবাই থেকে আমাদের আড়াল করতে। আমরা ছোটরা ততোধিক উৎসাহ ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে জবাই দেখে ফেলতাম। দেখার পরে কিন্তু অনেকক্ষণ বিষাদে মনে ছেয়ে যেতো। তবে শেষ পর্যন্ত এই বিষণ্নতা পেছনে ফেলে দেখা দিতো কুরবানির গোশ্ত খাওয়ার উৎসাহ।’ তখনকার দিনে আজকের মতো ঘরে ঘরে রেডিও ছিল না। অত্যন্ত অভিজাত পরিবারে বা কোনো বিখ্যাত দোকানে রেডিও দেখা যেত। আর সে সময় পুরো ভারতবর্ষের সকল রেডিও স্টেশনের পাক্ষিক প্রোগ্রাম শিডিউল প্রকাশ পেত ইংরেজিতে। এটা প্রকাশিত হতো ‘ঞযব ওহফরধহ খরংঃবহবৎ’ নামক ম্যাগাজিনে। অল ইন্ডিয়া রেডিওর একটি স্টেশন ছিল ঢাকায়। নাজিমুদ্দীন রোডের একটি বিল্ডিংয়ে, এখন যেখানে বোরহানুদ্দিন কলেজ অবস্থিত ঠিক সেখানে। সর্বভারতীয় এই রেডিও স্টেশনের পাক্ষিক প্রোগ্রামে যেমন ঢাকা কেন্দ্রের ঈদুল-আজহার উপস্থিতির স্বাক্ষর রয়েছে তেমনি রয়েছে বোম্বে কেন্দ্রেরও। ১৯৩৮ সালের দ্য ইন্ডিয়ান লিসেনার পত্রিকার ২২ জানুয়ারি সংখ্যাটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বকরি ঈদ তথা ঈদুল-আজহা উপলক্ষে একই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানসূচিতে বিশেষ রেডিও অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে আয়োজন ছিল ক্বাসিদার। গানের জগতে তখন আব্বাসউদ্দীন, কমলাবালা, রাধারাণী, হরিমতী, ইন্দুবালা, আঙ্গুরবালাদের রাজত্ব। হরিমতী-রাধারাণীর কণ্ঠে তখন নজরুলের গজল। আর কমলাবালার ভজন গান শ্রোতাদের পরম আরাধ্য। ঈদ উপলক্ষে ক্বাসিদার সেই আসর মাতানোর দায়িত্বে ছিলেন রাধারাণী-হরিমতী-কমলাবালা ত্রয়ী। ভাষাসংগ্রামী মাহবুব উল আলম চৌধুরী (১৯২৭-২০০৭) তাঁর ‘স্মৃতির সন্ধানে’ শীর্ষক গ্রন্থে কোরবানি নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘প্রতিবছর যখন আমাদের বাড়িতে কোরবানির জন্য গরু কেনা হয়, তখন খুব যত্ন করে তাকে খাওয়ানো হয়। নানি বলতেন, গরু নাকি আগের দিন স্বপ্ন দেখে যে পরের দিন তাকে কোরবানি দেওয়া হবে। আমি গরুর পাশে গিয়ে তার চোখের জল মুছে দিতাম।’ সম্পন্ন পরিবারে ঈদ কীভাবে পালিত হতো তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (১৯২৯-১৯৯৪) ‘অন্য জীবন’ গ্রন্থে। তিনি লিখেছেন, ‘কোরবানির সময় আমাদের বাড়িতে চালের আটার রুটি বানানো হতো সে একটা দেখবার মতো জিনিস। রসুনের খোসার মতো পাতলা রুটি, ধবধবে সাদা এবং সুগোল।...বকরিদের সকালে কোরবানি না হওয়া পর্যন্ত কেউ কিছু মুখে দিতেন না। পুরুষেরা গোসল সেরে নতুন কাপড় পরে নামাজ পড়তে যেতেন খালি পেটেই। ফিরে এসে একেবারে কোরবানি দিয়ে তারপর বাড়িতে ঢুকতেন। ততক্ষণে মেয়েদের রুটি, হালুয়া, সেমাই, ফিরনে সব রান্না শেষ।’
ব্যতিক্রমী এক ঈদ উৎসবেরও সাক্ষী এতদঞ্চলের মানুষ। সুকুমার বিশ্বাসের লেখা ‘আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাঙালি প্রসঙ্গ ১৯৬৭-১৯৬১’ গ্রন্থে রয়েছে সেই বর্ণনা: ‘ভাষা আন্দোলনে বিগত ১৯ মে পুলিশের গুলিতে হতাহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ও তাঁহাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনের জন্য শিলচরস্থ ঈদ উৎসব কমিটি এই বৎসর পবিত্র ঈদুজ্জোহা উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য সকল প্রকার আমোদ-উৎসব বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়াছে। এতদসম্পর্কে মুসলমান জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করা হইতেছে। ইতি-২৩/৫/৬১ইং।’ ২৬ মে ছিল পবিত্র ঈদুল-আজহা। এদিন কাছার জেলার সমস্ত মুসলমান শিলচরে সত্যাগ্রহী হত্যার প্রতিবাদে ঈদের আনন্দ উৎসব বর্জন করেন।
ঈদুল আজহা পালনের ক্ষেত্রে পুরান ঢাকাবাসীর রয়েছে নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। ঢাকার আদি বাসিন্দা শিল্পপতি আনোয়ার হোসেন তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার সাত দশকে’ লিখেছেন, ‘ঈদের তিন-চার দিন আগে থেকে দাবড়ে বেড়াতাম পুরো মহল্লায়, কে কত বড় আর কত সুন্দর গরু কিনল দেখার জন্য। ঈদের নামাজের পরই ছোটাছুটি শুরু হয়ে যেত আমাদের কোন গরুকে কীভাবে ফেলা হলো, কোন গরুকে ফেলতে কত কষ্ট হলো, কোন গরুকে তিন-চারবার ফেলার পরও উঠে দাঁড়িয়ে গেলÑএসব দেখার জন্য। বাবা যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন দুটি করে বড় গরু কোরবানি হতো আমাদের বাড়িতে প্রতি বছর। ঈদে আমরা কখনো খাসি বা বকরি কোরবানি করতাম না, ষাঁড় কোরবানি করতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর প্রথমবার কোরবানি দিই ১৯৫৩-৫৪ সালে, ১৫-১৬ বছর বয়সে। ভাড়া করা গাড়িতে গিয়েছিলাম ফতুল্লার হাটে। যতটুকু মনে পড়ে ৬০-৬৫ টাকা দিয়ে একটি ষাঁড় কিনেছিলাম। চারজন লোক ভাড়া করেছিলাম। ওরা ফতুল্লা থেকে ষাঁড়টা নিয়ে আসে আমলীগোলায়। মাংস হয়েছিল সাত থেকে আট মণ। কোরবানি দিতাম সাধারণত ঈদের পরদিন।’
বংশাল নিবাসী হাসমত আরা বেগম কোরবানির ঈদ সম্পর্কে তাঁর অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “মুসলিম গার্লস স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে আমি ম্যাট্রিক পাস করি। আমাদের পরিবারে কোরবানির ঈদের অনুষঙ্গ হিসেবে জিলহজ মাসের দুটি নফল রোজা রাখা এবং নিয়ম মেনে ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্’ দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে। ঈদের খাবার আয়োজনে থাকে কাবাব, কোপ্তা, সুরুয়াসহ আরও বিবিধ।” সাহিত্য ও স্মৃতিচারণা থেকে আবারও ফিরে আসা যাক কবিতায়। নজরুল কাব্যের ঈদ ভাবনা ও তার সাম্যবাদ প্রভাবিত করেছে সে সময়কার ও পরবর্তীকালের অনেক কবি-সাহিত্যিককে। ১৯৬৭ সালে কবি মোহাম্মদ আয়ুব খান তাঁর খঞ্জর কাব্যে লিখেছেন,
খুশিতে জগৎ ভরিয়ে গিয়েছে
এসেছে বকর ঈদ
খঞ্জর হাতে দাঁড়িয়েছে খোদা
কোবর্বান দিতে হৃদ।
ঈদুল আজহার বহুমাত্রিকতা আমাদের সাহিত্য, ইতিহাস ও সমাজজীবনে যেমন দৃষ্টিগোচর, তেমনি এর তাৎপর্যও বিস্তৃত ও গভীর। আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা, সমবেদনা ও সামাজিক সংহতির প্রতীক হয়ে এই উৎসব কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয় বরং বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিতে এটি হয়ে উঠেছে জীবনের অনন্য এক উপলক্ষ। আমাদের সাহিত্যে, আত্মজীবনীতে, পত্রিকায়, রেডিওর ইতিহাসে ও স্মৃতিচারণায় ঈদুল আজহার যে বৈচিত্র্য ও গভীরতা দেখা যায়, তা আমাদের সমাজ-সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।

প্যানেল

×